বাং লা দে শে র ক বি তা
একটি দৃশ্য আঁকতে আঁকতে চলে যাচ্ছে সময়
যার ভেতর দিয়ে পুনরায় জন্ম হবে আমার।
এই দৃশ্যে আমি আর আঁকতে পারি না জীবন
বহমানতায় হারিয়ে যাচ্ছে পুঞ্জ পুঞ্জ আক্ষেপ।
আমি যে দৃশ্য দেখি তা ফুল-পাখি, অন্তরাশ্রম,
প্রিয় সব মুখ, প্রিয় সব খুনসুটি সুখ।
স্থলপদ্মের ছবি আঁকতে আঁকতে অগোচরে
প্রিয় নারীর মুখ ভুলে গেছি বহুদিন।
বহুদিন ভোর দেখিনি বলে দৃশ্য ভুলে গেছি,
আমি নারীদের মুখ আঁকতে পারিনা।
আমি যে দৃশ্য আঁকি তা খণ্ডিত সময়,
আমি যে দৃশ্য আঁকতে চাই তা পূর্ণতা।
আঁকা মুখগুলিতে কারুকাজ করতে চাইলে
লেপ্টে যেতে থাকে তারা ভয়ানক কালিমায়।
আঁকা দৃশ্যে নদীর বুকে তুলি ছুঁয়ে দিলে
নদীরা খণ্ডিত হয়ে মরে যেতে থাকে।
বাতাসের ভেতর যে সীসা থাকে তার
ছবি আর বইতে পারছে না এইসব হৃদয়।
আমি যখন যে দৃশ্য আঁকতে চাই তা
বারবার খণ্ডিত হয়ে হারিয়ে যায় পেছনে।
আগামীকাল যে প্রেমিকার সাথে দেখা হবে
তার দৃশ্য ঠিকঠাক আঁকার চেষ্টা করবো অবশ্যই।
অথচ কোনো দৃশ্য ঠিকঠাক আঁকা হয়নি এমনকি
আঁকতে চাওয়া দৃশ্যের কোথাও কোনো ছায়া নেই।
মাটিতেই জেগে উঠি বিন্দু কণা থেকে,
জলমগ্নতায় জলের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ি।
সময় হলেই আমাকে কেটে ফেলে দাও
পানিতে চুবিয়ে রাখো পচনের অপেক্ষায়।
তারপর তুলে আনো মাটির বিছানায়
বুড়ো আঙুলের খোঁচায় ছাল ছাড়িয়ে নিতে।
আমাকে আঁটি বেধে রৌদ্রে শুকাও
কারো কারো বেড়া হবো, কারো কারো আগুন।
আগুন? জল? নাকি মাটি? কোথায় ঠিকানা?
এইসব মিশে যাওয়ার খবর রাখে না কেউ।