ক বি তা
যার দিকে তাকাই, তাকে বড় প্রিয়জন মনে হয়
আমিও কি তার প্রিয়, এই কথা খেয়াল থাকে না
খেয়াল থাকে না আমি তার কাছে বিপর্যয় কিনা,-
অনায়াসে হাত ধরি, বলি, কিছুক্ষণ পাশে হাঁটি?
বুঝি তার গল্পে নেই বিকেলবেলার কোনও মাঠ।
আমি তো মেঘের মতো পংক্তি লিখতে চাই অনির্বাণ
আমাদের চোখেমুখে কেন এতো মরুভূমি লেগে?
যেন বা গোপনে কোনও বাঘ গুঁড়ি মেরে বসে আছে…
আমাদের থেকে আরও ছিটকে গেছে কয়েক হাজার
আমাদেরই ভাই বোন বন্ধু কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকা।
আচমকা চিঠির মতো কেউ কেউ আসা যাওয়া করে।
আমি কি তাদের কাছে নিজেকে আড়াল করে থাকা
বিপদসংকেত কোনও? মৃত্যুভয়? বাতিল পোস্টার?
আমি তো মেঘের মতো পংক্তি লিখতে চাই অনির্বাণ-
পুরনো দোতলা বাসগুলো আর খুঁজেই পাই না।
একটি ধূসর গাছ সঙ্গে ঘোরে সারাদিন, কী বাঘ তার বিষাদ, দেখি
গোধূলি-আকাশে যেন আটকে আছে কঙ্কালের মতো,- একটি ধূসর গাছ সারাদিন
আটকে আছে, যেন জন্ম থেকে তার কখনও সবুজ কোনও পাড়াই ছিল না!
কেন এতো ভিড়ে- মানুষ চোখের জল লুকোয় একাকী? বুঝি, উপদ্রুত হাওয়া
পেলে সব ঝরে যায়, মোহিনীও লজ্জা পায়, ছিদ্রপথে আসেন ছোবল।
বয়স্ক আয়নার মতো কত মৃত্যু দেখে সেও, কত আশা জল ঢালে, সার দেয়-
বেজে ওঠে কত না ইমন! তবুও ধূসর গাছ সঙ্গে ঘোরে সারাদিন,
কালো আলোয়ান পরা
শীতের রাস্তায় তাকে আগুন পোহাতে দেখা যায়। আমি তাকে মনখারাপ বলি।