ক বি তা
১
জন্ম-মৃত্যুর প্রকৃত দাবিদার কারা এরকম প্রশ্ন অনেকবার দেওয়ালকে করে ফেলেছি। প্রতিবারই উত্তরে যা যা পেয়েছি তাতে মাটির ভাগ বেশি ও প্রজাপতির ভাগ সামান্য। অথচ এই প্রজাপতির ভেতর আমি কোনো আলো বা অন্ধকার কিছুই আলাদা করতে পারিনি। মাটির মধ্যে আলো বেশি। জন্ম বেশি। মৃত্যুও বেশি। কিন্তু প্রজাপতির ভেতর?… এখানে পুরোটাই নীল— পুরোটাই প্রশ্ন— যে-প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে হয়তো কখনো কখনো দেওয়ালের দু’দিকেই আমাকে যথেষ্ট মুখ খুঁজে পেতে হবে।
২
তুমি কোনো পোষা বিড়ালের মতো রোজ বাসা বাঁধো স্বপ্নের ভিতর। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখো মনিবের না চিবোনো হাড়, মাছের কাঁটা। তোমার নাভি বলে কিছু নেই। তার স্থলে একটা বড় হীরে। সেই হীরের আলো ঠিকরে পড়ে ছাদের গায়ে। যাকে আমি বারবার জোরালো লণ্ঠন ভেবে ভুল করে পড়ে চলি আগুন আর সলতের বিষাদকাব্য। মাঝের পাতা অবধি পৌঁছোনোর আগেই প্রতিবার একটি জাহাজ আসে। নোঙর ফেলে। তার নোঙরের সঙ্গে আমি তোমার আপাত নিরীহ শ্বদন্ত দুটির মিল পাই। শুধু পার্থক্য- একটি বহু পুরোনো রক্তের ছিটের, যাকে আমি আজও কোনো মাছ বা মুরগির রক্ত ভেবে নিশ্চিন্তে ঘুম থেকে উঠি।