Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

বাং লা দে শে র  ক বি তা

মো স্ত ফা   হা মে দী

একা কোনো ফুল 

একান্নবর্তী বন থেকে সংকীর্ণ কোঠায়

এক উন্মূল গাছ 

ছেঁটে ফেলছে বন্যভাব;

 

কাঠের স্নিগ্ধতা ফুরিয়েছে 

আর পাতার ভেষজ প্রতিভা

ম্রিয়মাণ –

 

যেন বেজে যায় কোনো পুরানা সাইকেল 

শিথানের পাশ ঘেঁষে 

সরু রাস্তায় ;

 

একা কোনো ফুল নিজের গন্ধে নিজে ঝরে যায়

জোছনার অতল সায়র থেকে উঠে এসে 

যে পরিরা মিশে যেত আবডালে—ছায়ায় 

ঘননির্জন পথের উপর ঝুঁকে ঝুঁকে 

মেলে দিতো মায়া;

 

সেই মন্ত্রময় দেহভাষ্য থেকে 

মুছে যায় ছায়ালিপি—

 

কেবল রেখা অবলোপ কিছু শুকনা পাতা

আর স্মৃতিপথে বিরাজিত ঝিরিঝিরি ধ্বনি 

এই দেহবনের হাওয়ায় 

বাঁধাই হয়ে আছে!

 

শোঁল

আস্তে হাঁটো। বুনো পিঁপড়ের দল অন্তিম যাত্রায়—সার বেঁধে।

 

মেঘের সংবেদনা নিয়ে ঝরে পড়লো লটকন ফল।

কুড়াই বহুযুগ আগের শুকিয়ে যাওয়া হাড়।

কে যে কবে নীত হলো এই পুষ্পবনে,

তাকে ডাকবো কেমন করে?

 

মৃতদের ভাষা আজও শিখিনি।

 

ঐ ঝোপের ভিতরে সোঁ সোঁ আওয়াজ।

অবলোকনের চোখগুলি এখনো জ্বলজ্বল করে।

তেষ্টা পাওয়ার অনুভূতি নিয়ে ঝিম মেরে আছি।

ঠিকঠাক দেখানো সব গাছালির ভিতরে

শোঁল পড়ে গেছে,

 

সেই ফাঁপা এক জায়মানতায়

নড়বড়ে কোনো সাঁকোর মতো

দুলে উঠছি,

 

তোমার পদশব্দে—নূপুরের হীন আওয়াজে।

আস্তে হাঁটো।

 

গাঁথা

এই ঘুম মেলে দিয়েছি ধোয়া জামার মতো 

 

তারার আলোয় সে শুকায়

নরম শরীর 

 

কেউ কিছুই বলছে না

 

গেঁথে যায় পরস্পর

 

একাগ্রতায়—

 

কোনো নারী যেভাবে শিশুর বোতাম লাগিয়ে দেয়।

 

আরও পড়ুন...