ক বি তা
আবার একটা শ্রাবণ আসুক
দুই কাঁধে অমলের দইওয়ালা দই নিয়ে ফেরি করুক
এ গলি থেকে ও গলি
যা-নেই তা গেলেও কী পড়ে থাকে?
আড়াল সরিয়ে সব উত্তীর্ণ মেয়েরা
মিলেমিশে সংগ্রহ করুক খতরনাক দানবদহনঅস্ত্র
সেরে ওঠা গাছ পাখি মন কাব্য গানে মেতে উঠুক
ছবির ইতিউতি ভরে যাক অ্যাক্রিলিকের ছটায়!
আবার সমুদ্রস্নানে ফিরে যাব আমরা,
যেখানে রামধনু ঠিকরে আরোগ্য নিকেতন জ্বলে
দীর্ঘ হোক রিক্তনিশা নিরাময়
দীর্ঘ হোক সমসহিষ্ণুতা
দীর্ঘ হোক প্রবাদপ্রতিম আস্থা
এই কালের যা কিছু বিনিময়
আবার ছুঁয়ে থাক প্রেম-বিধি
যা নেই তা মৃৎশিল্পের বিবরণী হয়ে ফুটুক
পার্বণ ফিরে আসুক, ফিরে আসুক
সোহাগে সিঁথি পরণে ধুতি শিমুলে শিউলি
ছোঁবে ব’লে ছোঁয়ার পরতে পরতে থামি
শেষে দইওয়ালার ঘরবাড়িতে পৌঁছে দিও পূর্বজন্মের
ওষুধবিহীন সরল ঘাসজমি।
আগুন বিষ অসুখে পিরামিডের মতো দাগ
অসময়ের কিনা জানা নেই আমার
হে দাহযুগান্তর! পারলে আমায় মারো।
পরবাসে অন্তরীণকালবিমুঢ় হয়ে আছি
পালাতে গিয়ে হ্যাঁচকা টান লাগে
জোয়ার বলেছে আমায় নিতে আসবে, বসে থাকি
জ্যোৎস্নাও বলেছে ঠোঁট লেপে দেবে কমলা সূর্যোদয়ক্ষণের আগে
কে দেয় বন্ধুতা আমায়
পুরুষ, নাকি হুডখোলা বর্ষাতির বাল্য ছাঁট
খুঁজছি পাথর আর শেকড় সরিয়ে
শ্যাওলার সবজে রং ঘষেবেটে
জানিনা কেন তবু লিখতে বসি, আড়ালে
অবোধ্য কলম ভাবে এত লেখার এই দাম
এই বন্দর এই রানওয়ে এই শূন্যস্থান
পিছন ফিরে দম-চাপা কান্না রেখে আসি
যার আকস্মিক অতীতগ্রাসীক্লেশ লিখে দেয়
শরীরের যত ক্ষতচিহ্নস্থান, এক যে ছিল জন্মবাসী—