ক বি তা
আমাকে বিশ্বাস করো, প্রাণ
দুইকান এঁটো করা নন্দিত প্রলাপে
তফাত গড়িয়ে গিয়ে জিভ পুড়ে যায়
একদিন বৃত্তগামী, প্রায়শই ছিট্ মাত্র গান
চোরাদুঃখে বেজে ওঠে, খরতর কাঁপে
“আমাকে বিশ্বাস করো”
এ-কথা বলার পরও
জেগে ওঠে ঘুণপোকা
কুরে খায় স্মৃতির প্রবাস
বিরুদ্ধ জলের কাছে তবু কিছু শ্বাসটান থাকে
লেখারা জলের মতো, হৃদিসরোবরে একটি-দুটি ঢেউ। বিমুগ্ধ জলধরেরা ছাপ ফেলে যায় এপার ওপার, আউলা বাতাস একতারার ছড় টানে তার বুকের ওপর প্রতিটি বিহানে, ওই দাগগুলি, কাঁপনগুলি অক্ষর। ঘাসফড়িঙের হলুদ ওড়াওড়ি আর কলমিলতার সবুজ আঁধারে ছায়াসংসার হয়ে থাকে নকশি দুপুর, ওকে আমি লেখার আনন্দ বলে জানি। ছিপ ফেলে বসে থাকা ছেলেটির সাথে আচমকা দেখাশোনা হয়ে যায় শাপলা তুলতে আসা কালো মেয়েটির। প্রেম কি ক্ষণের! মিশে যায় মাঝজলে, বেদনার মত তরমুজ রঙের মাছেদের ঝাঁকে… অথচ মরে না, সন্ধে ঘনিয়ে এলে একে একে মুখ বাড়ায় নিরাময়লিখিত অসম্ভব ঘাটের সন্ধানে। শাদা পাতায় ফুটে ওঠে পাশাপাশি লাল দাগ। কালেভদ্রে কেউ আসে, পথিকটি তেষ্টাকাতর। আঁজলায় তুলে নেয় জল, স্বাদ নিকটের হলে ভরে নেয় তার পকেটভিস্তিতে… লেখারা, জলের মত লেখারা, পার হয় শান্ত বনস্থলী, পৌষপ্রান্তর। পাড়ি দেয় রেলের সফরে, কালীনারায়ণপুর, তা বাদে ছোট ছোট হল্ট ইস্টিশান।