ক বি তা
বৃষ্টি নামলে তোমার কথা মনে পড়ে খুব
ভেজা শার্সি। জানলায় টাঙানো
জবজবে জামাকাপড়
ঝাপসা মুখচ্ছবি…
বাইরে অপলক চাহনিতে ভিজে যাচ্ছে
টগরফুল ও একটি ফেরিওয়ালা
এই ভেবে যে
এক্ষুণি কেউ তাঁকে শত অনুরোধ করে বলবে
ভিজো না আর ভিজো না…
শেষমেশ, বাস্তব চরাচরের মাঝখান দিয়ে ঝরে যায় টগরফুল
শার্সি বেয়ে রোদ চুঁইয়ে পড়ে ঘরে
ভেজা জামাকাপড় ক্রমশ আরো রঙিন হয়ে ওঠে।
বিশ্বাস করো,
বৃষ্টি থামলে এখনও
ফেরিওয়ালার কান্নায় ভিজে যায় প্রতিটি গলিপথ।
যেসব রাতের সন্ধান সমস্ত নিশাচর প্রাণীর কাছে চিরকাল অজ্ঞাত থাকে, শীতের কুয়াশা মাখা নদীদের গল্প যে সমস্ত যাযাবর জানে না, মাঝে মাঝে সাধ হয় ইঁদুরের মুখের শস্য ছিনিয়ে এনে তাদের মুখে দিই। অন্তত একবার সমস্ত অন্ধকার মুছে যাক তাদের, এ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পদাবলীগুলো লেখা হোক তাদেরই নামে।
আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি ‘ঘুম’ কোনো শান্তির ভঙ্গিমা নয়, তিলোত্তমা। যারা ঘুম জড়িয়ে থাকে, তারা শুধুই পার্থিব হতে চায়।বিশ্বাস করো, তারা জিন্দা লাশ কাকে বলে জানে না। তারা কোনোদিন কোনো শাবককে কোলে তুলে দেখায়নি পৃথিবীর অন্ধকার ঘুলঘুলি থেকে বেরিয়ে আসা সামান্যতম আলো। অথচ ঐ আলোয় বদলে দিতে পারতো আমাদের চারপাশ! ঐ আলোয় শুকিয়ে দিতে পারতো আমাদের দূরত্বের মধ্যিখানে লেপ্টে থাকা যাবতীয় নীলাভ শোক আর না ফেরার হাতছানিদের।