বাং লা দে শে র ক বি তা
মৌনস্পর্শের মতো জাগ্রত অনুভূতিদের
গায়ে সুগন্ধি সফেন,
শান্ত নদীর নিতলবুকে বাতাসের কানামাছি খেলা,
কুর্নিশে অবনত দেবদারু গাছটিও,
অথচ অন্তরালে এখনো চলছে
শৈশব স্মৃতিদের নিমগ্ন খুনসুটি।
হিজলডালের শ্রান্ত পাখি হঠাৎ এসে বলল,
তোমার মনে আছে?
হোঁচট খাওয়া অতীত সত্যিরা একদিন
পাহাড়ের বুক-পাঁজরে
কেমন অবুঝের মতো কেঁদেছিল?
মনে আছে?
সেদিন তোমার দীর্ঘশ্বাসের জলদীঘিটা
একটু-একটু করে কেমন নীলচে হয়ে গেল?
আমি নভঃমণির ললাট ছুঁয়ে নিশ্চুপ হয়ে রইলাম!
পায়ের কাছে শ্বেতপাথর,
পাথরের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছে
দুপুরের জ্বলজ্বলে রোদ;
অথচ মস্তিষ্কের নিউরনে এখনো লেগে আছে,
সাতরঙা সত্যের আস্তিন পরা… সেই স্মৃতিকাঁটা প্রলেপ!
মৃত-আত্মায় উৎসাহী বলেই
শকুনের চোখ খোঁজে মাংসাশী শরীর,
জ্বলন্ত বারুদের উৎকট গন্ধেও,
ফেরারি পাখি খোঁজে ছোট্ট একটা নীড়;
অলীক জালের কৃত্রিম বন্ধনে আটকা পড়া
চঞ্চলা হরিণী জানে;
ক্ষুধার্ত বাঘের দৃষ্টি কত বীভৎস হয়!
সবকিছুই চলে নষ্টবিবেকের তর্জনীর ইশারায়,
হয়তো এভাবেই চলবে
অনন্তকালের হাত ধরে;
তবু ভাঙা প্রাচীরের ওপারে কাঁদে
উত্তর না পাওয়া কিছু নিশ্চল প্রশ্ন,
কালরাত্রির ঔরসে জন্মানো কিছু অমীমাংসিত প্রশ্ন…