বাং লা দে শে র ক বি তা
এ এক বিষণ্নতামাখা সময়!
যে মুখের দিকে তাকাই
তাতেই কিংকর্তব্যবিমূঢ় ভাব ঝুলে আছে!
অথচ এই তো সেদিনও—
কোনো মুখে চমকাচ্ছিল আলো
কোনো মুখে লেপটে ছিল প্রশান্তি
কিছু মুখ মুখর ছিল
কিছু মুখ মৌন মনোযোগী
আর হালকাচ্ছলে ভ্রু ভাঙা, নাক কোঁচকানো
ঠোঁট উল্টানো মুখমণ্ডলের অভাব ছিল না।
কিন্তু এখন? উহ্!
পরিবর্তন চাই, পরিবর্তন চাই বলে
ভেতরটা খুব তড়পাচ্ছে;
কিন্তু কীভাবে? কখন? কার?
ভেবে স্থির করতে পারছি না!
ভাগ্যিস আয়নায় কখনো নিজের মুখ দেখি না,
সহ্য করতে পারতাম না!
বললেন, দেখবি শুনবি কিছুই বলবি না।
আমরা বলতে ভুলে গেলাম!
অশিক্ষিতদের ইশারা বদলে দিলেন
ভীরুদের ধর্মের দোহাই,
কলমের নিবও খুলে নিলেন
যেন স্রোতের বিরুদ্ধে না যাই!
স্রোতে গা ভাসিয়েই চলছিলাম মাননীয়,
শুনলাম টেবিল চাপড়ে বলছেন, কেউ কথা শোনে না,
কারো নিয়ম মানার বালাই নাই!
আচ্ছা, কখনো পড়েননি?
বোবা মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই বধির হয়!
মানুষের জীবন যদিও
কতগুলো বিচ্ছিন্নতার যোগফল মনে হয় আমার;
আয়ুষ্কালে তার
কেবল ক্ষয়, কেবলই বিয়োগ, কেবলই বিচ্ছেদ!
তবু্ও কোনো কোনো নাম রয়ে যায় মনে
হয়ত গোপনে
অতিক্রম করে নিজেরই আয়ুষ্কাল!
যদি রুঢ় হয়ে ওঠো
তবে যাও
এ আঁধার আমার কাছেই থাক।
নিজের হৃদয় কেটে নিজেই
একখানা আলোকবর্তিকা বানাব
তারপর হেঁটে যাব
গন্তব্যে।