ক বি তা
মুখে কী নিষ্পাপ হাসি রণদাদার । দিনরাত দুহাত দিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ চেপে ধরে থাকত। লজ্জায় কেউ তার চোখের দিকে তাকাত না। অথচ আমি দেখতাম সেই নিঃশেষ আঁধারেও প্রথম আলোর মতো জ্বলজ্বল করত রণদাদার চোখ।
সেদিন তামাটে রঙের জ্যোৎস্নার গা চুঁইয়ে পোড়া মাংসের গন্ধ ছড়িয়ে যাচ্ছিল বড়োবাড়ির খিড়কি পুকুরের আনাচে কানাচে । আমি জ্বরের ঘোরে স্পষ্ট দেখলাম রণদাদার ঘর থেকে একটা কমলা প্রজাপতি উড়ে এসে আমার পুবের জানলায় বসল।
রণদাদার রানী বিড়ালটা মিউ মিউ করে শূন্য ঘরটার পাশ দিয়ে শুধু ঘোরে। দরজা খোলে না।
আমি আর সেদিকে চেয়ে দেখি না।
এখন রোজ ঘুমন্ত দুপুরগুলোতে এক অদ্ভুত জ্বর আসে শরীরে। বিস্বাদ জিভে লেগে থাকে পাকা মরিচের স্বপ্নগুড়ো। রণদাদাদের ঝিয়ের মেয়ে পরি, আঁচলে বেঁধে চুপিচুপি নিয়ে আসে লাল করমচা।
আমি তাকে জনান্তিকে বলি—
“পরিদিদি, তুমি কোঁচড় ভরে আগুন নিয়ে এসো। আমি পুনর্বার খান্ডব দাহন করি।”
চলো ওই নিবিড় ছায়ায় বসি।
নখে শান দিতে দিতে
পড়শির ভরন্ত উঠোনে
অনাবৃষ্টি ডাকি,
চলো ঈর্ষার রঙ মাখি অবসর গায়ে,
একসাথে নিঃশ্বাস ছাড়ি,
চলো শেষ করি এই অরণ্য—
সবুজ সীমানা, জলের পৃথিবী
এরপর নিশ্চিত ধ্বংসকাল এলে, দেখো
এইসব গাছেদের শব কোল পেতে দেবে।
চলো মাথা গুঁজে দিই।
হয়ে যাই শস্য পরিমাণ।
দেখো, দ্বিজন্মে ঠিক
পুষ্পগর্ভ পাব।