ক বি তা
‘এখন কেমন আছ
বহুদিন কথা নেই কোনও’
গত বইমেলা থেকে
বিকেলের ঝোঁকে আজও চিঠি যার কাছে—
সেও কি জানেই ঠিক সে কেমন থাকে
কেমন আশ্চর্য জলে সন্ধ্যা এসে নামে তার
পুকুরের হিমে এ পাড়ায়
সেও কি তেমন জানে জল থেকে উঠে আসা সর,
ফাঁকা রাত্রি
হেমন্তের শব্দহীন ঘরে ঘরে কেমন দুরূহ হয়
ভাষা
পড়ুয়া বিনুনি তার ধৈবতের দুঃখে কেঁদে
বিদ্যুৎ রেখাব ছুঁয়ে ফিরেছিল কবে শুদ্ধস্বরে–
সেও কি খেয়াল রাখে আর
কবে সে কতটা ছিল একাকার, পুরনো লেখায়
একটি নতুন নাম ঘিরে আসে, চঞ্চল চঞ্চল
এখানে চঞ্চল আমি, কী প্রবল লুকিয়েছ তাকে
পাশের নামটি নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেলে তবু
পত্রিকা বাঁচাল তাকে, পত্রিকা বাঁচায়!
একটি নতুন নাম ঘিরে আসে, পুজোবার্ষিকীর
পাতা জোড়ে পাতা ছেঁড়ে পাঠিকার বাড়ি…
কেন যে শোনাও ওকে পুরনো কবিতা পড়ে
পুরনো নদীর জলে ভেসে–
কে কাকে উজ্জ্বল করে কে বা কার উজ্জ্বলতা নিয়ে,
পনেরো বছর পর সন্ধেবেলা ভেসে যাচ্ছে একই?
একটি নতুন লেখা একত্রে হয়েছে বলে
ব্যাগে বই ফের ছুটি রদ…
একটি নতুন নাম ঘিরে এল, চঞ্চল চঞ্চল!