বাং লা দে শে র ক বি তা
হাসপাতালের মতো সাদা টিনসেড বাড়িটির সবুজ পিরিচে ঠান্ডা আইসক্রিমের মতো জমানো শাহরিক দ্যুতির ভিতর দেখা যায় অলৌকিক ডানাওয়ালা আগুনের ঘোড়া
মানুষ যেমন স্বপ্নে ফেরে তেমনি সুন্দর শীতল একটি হাসপাতালের দরজা খুলে স্বপ্নের বারান্দায় খুঁজি মধ্যরাতে লেখা তরল কবিতা।
দুপুরের উড়োপাতার ভিতর চাকভাঙা মৌমাছির একগুচ্ছ ডিম বুকের দখল মাড়িয়ে জলের যন্ত্রণা পিষেপিষে মন্ত্রবাক্যে আহত করে কয়েকশ বিষপিঁপড়া…
ঢাউস একখানি চাঁদ বুকের ভিতর তবু নিঃসঙ্গ,
কাফন জড়ানো শরীর আশার ছলনে ভোলে পূণর্মূদ্রণ গ্রিকট্র্যাজেডি
থৈথৈ নৃত্য, ভুলতে না পারা পিঁপড়ের কথা, বারবার মনে পড়ে যায় অমরাবতীর সোমরস, ভেদাভেদহীন আলো, পুতুলের অলিম্পাস নিয়তি!
ধারের চোরাগলি বেয়ে পঞ্চানন চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতের কঙ্কালে চুম্বন
শহর শিরদাঁড়া খাড়া করে জেগে ওঠে রাতের অন্তর্বাস খুলে,
দেশি মদের বোতলে নাচে ছেলেবেলার ভুতুড়ে বাঁশবাগান ও জোনাকির মিটিমিটি আলো
শিয়রে গলে যাওয়া মোম এভাবেই তামসিক যৌবনের গল্প শোনায়…