ক বি তা
একটা রং খইতে খইতে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে
তার ভেতর ফুরিয়ে যাচ্ছে কত গল্প।
যেসব ছবিগুলো ফুটিয়ে তুলেছি সাদা কাগজে
আজকাল সব ধুলো।
আঘাতের শব্দগুলো নিশ্চিহ্ন হতে হতে
এগিয়ে দিচ্ছে শুধু হাহাকার
মাঝে মাঝে জ্যোৎস্না নামলে পরে
পেঁচার ডাক সবটা চিরে দিয়ে যায়।
খুঁড়তে বসি।
সোঁদাগন্ধ চেপে ধরে।
কালো রংয়ের ভেতর যেন একটা পৃথিবী
গড়ে নিচ্ছে তার নিজস্ব বাঁক…
আমি ঘুরছি, ক্রমশ ঘুরছি
মাথা ঘুরছে
পা টলছে
আর
ঘুরতে ঘুরতে মুখ থুবড়ে পড়ছি যন্ত্রণার ওপর…
সরে যায় ঝরা পাতা পথের মাঝখান থেকে
চাকার নীচে অবাধ্য হাওয়া
এ কোন স্বপ্ন নয়
হাওয়ার মাঝখান থেকে উড়ে আসা টুকরোটাকরা
জড়িয়ে যাচ্ছে চুলের গোপন ফাঁকে।
তোমাকে এত কাছে পাইনি এর আগে
তবুও ধূসরতা টোকা দেয়…
সাইকেলে জড়িয়ে যাওয়া ওড়নায়, দাগ লাগে কালির
চমকে উঠি।
সেই এক দৃশ্যপথ,
নদীর স্মৃতি
বয়ে যায় আনাচে কানাচে,
আর বাইতে বাইতে পেরিয়ে যাই দুদশক ।
সেই এক বিস্তৃত মাঠ,
অশ্বত্থের নীচে জমা হয়ে ওঠা হলুদ পাতারা আর
হাতের ওপর আঁকা সেসব দীর্ঘ ছায়া
শুয়ে আছে কবরের ভাঙা ফলক হয়ে।
আমি আজ আবার দাঁড়িয়ে দেখছি বহুদূর থেকে
কঠিন চোয়াল, চোখের গভীরে ক্ষত আর
একটা রঙচঙে খোলস…
কানের লতি ছুঁয়ে আছে গরম নিঃশ্বাস…
অথচ কেউ নেই।
দম বন্ধ করে ফিরে আসি জোয়ারের টানে।
চারপাশে জল থৈ থৈ, তল নেই
আছো, তবু নেই
হাতের ওপর এক নতুন অশ্বত্থ পাতা…
চলতে চলতে তারা ফিরে যাচ্ছে আবার শহরের দমবন্ধ ভিড়ে।