গু চ্ছ ক বি তা
আর তোমাকে জীবন্ত রাখবার
সত্যিই কোনো মানে হয় না,
সুযোগ বুঝে আমি তোমার পেছনে
একটা পাটকিলে রঙের
কুকুর লেলিয়ে দিলাম,
এই গভীর লোকালয়ের ভিতর
এই গণিকাআবাসের আড়ালে
কোনো মানুষ নয়, একটা ঠান্ডা মাথার
উৎফুল্ল কুকুর তোমাকে হত্যা করেছে!
তোতে-আমাতে কোনো তফাত নেই,
সত্যি বলতে কী, তুই-আমি অভিন্ন,
একাত্মা, পরমাত্মা,
পেট ফেটে মরে গেলেও কথাগুলো
কাউকে বলিস না,
রসের অভাবে দেহ পাতা হয়ে গেল,
শরীর খড় হয়ে গেল,
চল আমরা একটু শুয়ে পড়ি,
গায়ে গা লাগাই,
শাস্ত্রে আছে, শোয়া-বসাই তো
মুক্তির চরম পথ!
ঘরভর্তি বই খাতা
কুঁজোভর্তি জল!
জানলা থেকে দেখা যায়
আমার সংগ্রাম!
হাঁড়িভর্তি রক্ত, আর
সাজিভর্তি ফল!
দরজা থেকে দেখা যায়
বেশ্যাদের গ্রাম!
হ্যাঁ গা, তুমি আমাকে চিনতে পারো?
পারোনি তো?
গায়ে এত ছাপ্পাছুপ্পি, এত সব
জড়ানো জ্যাবড়ানো— ধাঁধা লেগে গেছে,
নিশ্চয়ই চিনতে পারোনি।
পূর্ণিমার রাত্রি কিনা!
হঠাৎ হাভেলি থেকে
বেরিয়ে এসেছি।
মিঠাই-সন্দেশ নয়,
জামবাটি ভর্তি করে রক্ত দিও,
আর একটু ঈষদুষ্ণ জল,
সুহাসিনী পিসিমা গো
ড্রাকুলাসূত্রে আমি এখানে এসেছি—
আমি সেই তোমাদের চিরচেনা
প্রকান্ড শ্যামল!
অত বড় দাঁত আমি
কখনও দেখিনি,
ধারযুক্ত, অমন মসৃণ!
তুমি কি ড্রাকুলা নাকি?
চেটে খেতে এসেছ আমাকে।
বেশ, বেশ, খুশমনে খেয়ো।
হে ড্রাকুলা, ড্রাকুলা হে,
অত বড় দাঁত আমি বাঁধিয়ে রাখব।
কিন্তু কেন-বা তুমি, অসময়ে
হাভেলির খিল খুলে দিলে—
তেসরা নভেম্বর, সেদিন ফ্রাইডে,
আমাদের দেখা হোক
ডিনার-টেবিলে!
কলহ বিবাদে নেই
গোষ্ঠীতে শিবিরে নেই
তাঁবুতে ছাতায় নেই
জুড়ে আছি ফাটাফুটো
আধখানা দলে
মেঘের সঞ্চার দেখি
বজ্রের পতন দেখি
পাহাড়ে বিপ্লব দেখি
মিশে আছি গা-ভর্তি
আমার শ্যামলে