ক বি তা
অমাবস্যা কাল।
বলির ছাগল বাঁধা– বাড়ির উঠোনে…
মুখের সম্মুখে রাখা– সঙ্গমের পরিবর্তে লেখা
কবিতার ছিন্ন পাতা,
গভীর রাতের ভাঙা ডাল,
জোনাকির ছায়া…
নিবিড় প্রেমের মতো অন্ধকার-চিদাকাশে– মায়াময় চোখ দু’টি জ্বলে!
শব্দহীন বিদায়বেলার– প্রবল ঝঞ্ঝায়:
যতদূর চোখ যায়… ততদূর, ততদূর-ই
মানুষ বিদ্যুৎ পরিবাহী
ধাতু… ধাতু… প্রিয়তম ধাতু…
মৃত অমাবস্যার সকালে, আবিষ্কার ক’রি আমি :
মহার্ঘ্য রক্তের মতো একটি তরল ধাতু স্বার্থ।
খালি চোখে দেখা :
চিরবন্ধ তালার গহ্বরে– সবুজ লতার মতো বাইরে ঝুলে আছে
আমাদের শেষ দেখা-হওয়া… ছোট-ছোট শ্বাসের মান্দার!
কত আলো… কত হাতে লেখা চিঠি… ধুলোর ময়ূর
এখনও পেখম তুলে নাচে… পূর্বাভাসবিহীন অপূর্ব স্মৃতির বৃষ্টিতে…
সে ততটা গাছ নয়, জানি…
যতখানি চাবি হ’লে–
পাখির আকাশ আর জাহাজের সমুদ্রের মাঝে;
প্রতিদিন জবা ও কুসুম একই সাথে খোলে, খুলে যায় পৃথিবীর বাড়ি…
সেই পুরাতন দৃষ্টি: মরচে-পড়া তারা–
খালি হাতে জ্বলে… …
হে তস্কর, হে বন্ধু বিদায়!