ক বি তা
সাড়ে পাঁচশো বছর আগের এমন এক দিনে তুমি ঝাঁপ দিয়েছিলে
জ্যোৎস্না ভর্তি ফুলেশ্বরীর জলে। তোমার চোখের তলায় সন্দেহ
ছিল কি সেদিন? তোমার প্রেমিক বুঝেছিল তোমার মন? আমি
চশমার উলটো কাচে দেখতে পাই তোমার পুরুষ আজও জীবন্ত
ভীষণ। মাঝেমধ্যে তাকে দেখে উত্তেজিত হই। কাছে ডেকে জিগেস
করতে ইচ্ছে করে, এই যে সুন্ধা গ্রামের জয়চন্দ্র, কিছুই কি আর
মনে নেই? দিব্যি রঙিন মাগিদের সাথে ঢলিয়ে বেড়াও আজকাল।
টিভির খবর দেখে দল মাপো। রাত বাড়লে বমির উপর ঘুমাও।
আর খাদের নিচে পায়রা উড়তে দেখে আচমকাই ঘুম ভেঙে যায়
তোমার। অথচ একবারও কি মনে পড়ে না চন্দ্রাবতীর মরা মুখ?
মানুষের মৃত্যু নিয়ে কি খুব বেশি বিচলিত তুমি আজকাল?
কী শোকে পালটে ফেলেছ হাতের নখ? বরং আরও কিছুটা
প্রতিশোধ মিশিয়ে নাও চাহনিতে। আরও কিছুটা জ্বলুক বুকের
গহ্বর। যে অন্ধকারের ভেতর বহুদূর ঘোড়া ছুটিয়ে দিয়েছ তুমি,
ছেঁকে খেয়েছে কি সমস্ত পুরুষ তোমার হৃদয়রস?
‘ধৈরজ ধর চিতে তুরিতহেঁ মীলব কান।’
প্রাতঃ ও স্মরণীয় তোমার স্মৃতির কেচ্ছায়
মাথাকুটে লিখেছি বিষণ্ণ ধারাপাত।
আহ বাংলা কবিতা!
ওহ, ইয়েস