গু চ্ছ ক বি তা ২
১
সময় আসলে এক অলৌকিক ধারণা। সময়ের আশপাশে অনেক সময়ঘর। সেসব চোখে দেখা যায় না। যেমন পেতে দেওয়া পিঠে কেউ ভিন্ন ভাষায় লিখে যাচ্ছে, তুমি বুঝছ , হিজিবিজি ।
২
কয়েক বিন্দু ঝুলে আছে বায়ুশূন্যতায়। নতুন দম্পতি নেমে যাচ্ছে। লিফটের মধ্যে তাদের ডার্ক হিউমর।
– তুমি হাসো একটু, আমরা নবদম্পতি
– ধরে নাও আজ আমাদের ঝগড়া!
– হাতটা ধরে রাখো তবু
– তাই হোক তবে
– আঃ! এত চেপে নয়।
– ভুলো না, আমরা সদ্য বিবাহিত!
বায়ুশূন্যতায়, কয়েক ফোঁটার কাছে পৌঁছে যায় তারা। ১৩ টা দেশের ১৭জন সঙ্গীতজ্ঞ আলাপে ব্যস্ত ছিল তখন। তাদের উর্জা ৬ ভাগে ভাগ হয়। তার চারভাগ জুড়ে পৃথ্বী ; যার তিনভাগ জল আর একভাগ আলো।
৩
আলো ফেরেনি অনেকের। আমাদের এসেছে দুপুরের তিন ও তিরিশের মাঝে। বাতাসের চাকা ঘুরে উঠলে আমি বা আমরা বলি ও বলেওছি, “আলো এসেছে”। আমরা কখনও বলি না বাতাস এসেছে। অথচ আলো বাতাস, বাতাস আলো দুইই এখানে কৃত্রিম ও ম্যান মেড। তবু বাতাসকে আমরা প্রাকৃতিক ভাবতে ভালোবাসি!
৪
একটা ঝড় প্রমাণ করে দিয়েছে আমাদের শহরে গাছ ছিল। পরিণত। অপরিণত। কাঁচা শেকড় মাটি আঁকড়ে, মোটা শেকড় মাটিকে আঁকড়ে… দেশবন্ধু মাঠে মোট আঠাশটা গাছ পড়েছে। “এত গাছ ছিল শুধু ওই মাঠটায়!” অচেতনে এসেছে সরল বিস্ময়। করাতের দাঁত খুঁটে বের করা আদমশুমারি, এ হিসাবে ভুল নেই। মৃতদেহ, গুনতে সুবিধা হয়। তারা নিয়মানুবর্তী ও নিথর। রোল কলে প্রক্সি দেয় না। জাতীয় সড়ক ও রেললাইনেও গাছ পড়েছিল কিছুদিন আগে। ও কিছু মানুষ, এই গাছের মত। পরিণত। অপরিণত।
৫
একটা মশারির ভেতর আমরা নিরাপদ অনুভব করেছি। একটা সাদা ডুরে নীল মশারি। মশারি তবু শুধু মশা নয়, সকল উড়ন্ত ও অদৃশ্য বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করে এসেছে। সেখানে আমরা পরিচ্ছন্ন বাতাস পেয়েছি, আলো এসেছে বাধাহীন, মাথার কাছে রেখেছি জল। তবু যেদিন প্রথম ফুটোটা হয় একেবারে আমল দিই না আমরা, উল্টে আঙুল দিয়ে খেলতে থাকি, অকারণ বাড়াতে বাড়াতে ঢুকে পড়ে অতিবেগুনি রশ্মি। আমরা চামড়ায় এস.পি.এফ মাপি কিন্তু মশারির যত্ন নিই না।