ক বি তা
কিভাবে যেন বয়স বেড়ে যায়
রাত ভাঙতে ভাঙতে ফিরে যায় প্রেমিক
বিবর্ণ দেওয়ালে অজানা নক্ষত্র অস্তমিত হলে
কালপুরুষ হেসে ওঠে কোমরবন্ধ নিয়ে
শাশ্বত ঋতুর ঐশ্বর্য পেরিয়ে
শিউলি পায় ঝরে যাবার অধিকার –
ভিতর ভিতর খুঁজছ মায়াবন
শুধু প্রতিক্রিয়া আর প্রতিক্রিয়া
গুছিয়ে রাখতে ভরে উঠছে পাতা
ফাগুনের সব আয়োজন ফাঁকা—
বুকের মধ্যে ধ্বনি ও প্রতিধ্বনি
মুখোমুখি খেলে লুকোচুরি
প্রিয় কথোপকথন বলে কিছু নেই আর
রূপকথার সরণীতে ভালবাসার উৎসব
সরে গেছে আলোকবর্ষ দূরে
নদী ও নারী জোনাকি দেহে লীন
ছায়ারা অদ্ভুত স্বাধীন
আলোর কাছাকাছি এসে ।
এক মৃত্যুর হরবোলা হেসে ছিঁড়ে দিয়ে যায়
সমস্ত মিথ্যে প্রজ্ঞাপন
সময়ের –
পাতা ওল্টাও
খুলে দেখো
বিন্যস্ত পাঁজরে ভেঙে পড়ছে দেশ
ক্লান্ত শরণার্থীর মতো
অসীম সীমানা বুকে
ঠিকানা লিখছে পরিযায়ী অক্ষর বন্ধ
হাত ছেড়ে দিলে ভয়
রাস্তা অচেনা
একটু দূর মনে হয় শূন্যপুর
আহত নিঃশ্বাসে পেতে কান
শোনো আহবান
এক মৃত্যুর হরবোলা ভেঙে দিয়ে যায়
সমস্ত পরিচিত নাম
অলীক ভূখণ্ডে—