ক বি তা
এইমাত্র কান্না ভেঙে বের হল প্রাণ
ব্রহ্মাণ্ড সহায়
আমরা সকলে যেন অনাথ পিণ্ডজ
মৃত্যু ও শোকার্ত সমুদ্রের বিগলিত নুন
প্রত্যেক আহারে তাই নিত্যতা মেনেছি
বিশ্বময় সুকঠিন গোপন দরজায়, অন্ধপ্রায়
কে দিল অঙ্গ, কে দিল মুণ্ড, দৃশ্য ও আকার
অস্ত্র উপচার, অর্চিত প্রণাম
আমাদের নিদ্রাধূপে গন্ধ ফুরালেই
কে তবে নিশ্চুপ ঘরময়, নিঃসঙ্গ দাবাড়ু
ঘোড়াশালে ঘোড়া যায়
হস্তীশালে হাতি
নৌকা নামে জলে
কে তবে পাঠায় রাজা, শূন্য পক্ষকালে
যোগের গভীরে গেলে আত্মজন্ম, বিক্রিয়ক স্নানে
শরীরে চুম্বক লেগে, যে বিষম, যে অনেক দূরে
তাকে বেশি টানে
নিঃসঙ্গ স্বপ্নের মতো কেউ আসে, ধীর সন্তর্পণে, যেন মৃত্যু অথবা পাখি, স্পর্শ করলেই মারা যাবে এমন
শিশুর কান্না ওঠে বুকে যেন পুরুষের স্তন মা হতে চায়
বিস্তীর্ণ একটা গমখেত শুয়ে থাকে সরল যোনির মত,
তার কূপে কূপে খেলা করে বয়সের শিশুরা, গোধূলির পর মারা যায় আর
নীল কাফন জড়ানো আয়নায় চুপচাপ ঢুকে পড়ে।
কে আসে তবে নিহিত স্বপ্নের ভিতর!
আরও নিবিড়ে গেলে, নিভে আসে আলো
অন্ধের আলোক ছাড়া বাঁচে না ছায়ারা, শুধু হাজার হাজার বিন্দু সপ্তসিন্ধুপার জুড়ে ভাসে।
অদূরে ঘোষণা শোনায় কেউ-
অদৃশ্য জামা গায়ে মানুষ যায় না কোথাও,শুধু তার ছায়াটি নিখোঁজ হয়…