ক বি তা
এই আচমকা ঝড়বৃষ্টির রাতে
বন্দি, অন্ধকার জীবন পেরিয়ে
এইসব হাওয়াবাতাসের গাছ
কিংবা গাছ নয়, মনের অলিগলিতে
তোমার পুরোনো, আনাড়ি মুখ
দেখি , চিরকালীন আছে ভেসে
দুঃখ তো আমারও ছিল নানারকম
এই নিভে যাওয়া , জ্বলে ওঠা রাতে
তবু তোমার দুঃখ কেন প্রকৃত মনে হয় ?
বল, এই মুহূর্তে শংকরপুর চলে যাওয়া যায় ?
বসন্ত চলে যাওয়া, রোদে পোড়া ক্লান্ত শহরে
রংচটা পার্কবেঞ্চ একা বসে থাকে
বন্ধ গ্যারেজ পেরিয়ে হেঁটে যায় বিস্মৃত ছায়া
ময়দান এলাকা চিরে চলে যায় ট্রাম
ফাঁকা ট্রামের উদাসীনতা নিয়ে পড়াশোনা ছিল একদিন
কোনো একদিন
পড়াশোনা করতে করতেই আমরা বুঝেছিলাম –
স্টুডিয়াস মেয়েদের চোখ থেকে চশমা খুলে নিলে
তারা রাধাচূড়া গাছ হয়ে যায়
বৈশাখ দুপুরের নির্জন অস্থিরতায়
সূর্যের চুম্বনে রাস্তার পিচ গলে যায়
দূরের অদৃশ্য কারখানা থেকে ভেসে আসে বিষণ্ন সাইরেন
রাধাচূড়া গাছ শেষ কবে দেখা গেছে দুনিয়ায় ?