ক বি তা
আখরে বিলাপ সাজাই। অশব্দের গায়ে ছাপ পড়ে তার।
অনিন্দ্যসুন্দর সকালের অম্লমধুর ব্যবহার
সন্দেহ আনে চোখে ; পঞ্চশরে নিশানা বাঁধি
পাথরের বুকে। পাথর কেঁপে ওঠে।
অচলা চঞ্চলা হয়ে ক্ষমা চান ; হৃদয়ে যবন এক
অবিমৃষ্য হাসি ছুঁড়ে দেয় অসীম মেঘে মেঘে,
নিদাঘ ঘন হয়।
ঘনতর হয়ে ওঠে কালশিটে ;
দু-বুকে প্রেম তবু দুঠোঁটে বিস্বাদ…
আখরে বিলাপ সাজাই, পাথরে শৈবাল
কি প্রচণ্ড চেষ্টা অথচ ঘুম নেই। সমস্ত কথা জমাট বেঁধে দলা পাকিয়ে আছে অথচ বমি পাচ্ছে না। একফোঁটা জল মুখে দিতে গিয়ে দেখছি গোটা আকাশ ভিজে যাচ্ছে যদিও এই উত্তাপে আকাশেরও গলে যাবার কথা, গলে গলে এক একটা নরক বানিয়ে তোলার কথা যেখানে আমাদের অবশিষ্ট জমা হবে। এই অবশিষ্টে থাকবে ওই মেয়েটি যাকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দিয়েছিলাম – যে প্রশ্ন করবে এতদিন কোথায় ছিল প্রেম। অথবা কিছুই করবে না। সমস্ত দূরে যাওয়া প্রেমের থেকে বাঁচার উপায় একটা মিথ্যের চাদরে নিজেকে ঢেকে রাখা অথচ আজ সেই চাদরেরও ছেঁড়া ফাঁকে হাওয়া ঢুকছে। একটা ধুঁকতে থাকা জীবন শুধু বিশ্বাস নিয়ে বাঁচছে ও সমস্ত চাহিদা মাটির নিচে আদিম ফসিলের মত সঙ্গলিপ্ত। তেষ্টা নেই অথচ জল আছে। একটা মরা তেষ্টার দাবি কতটা তার কি-ই বা জানে জল। অথচ এই ভাবতে ভাবতেই আকাশ বয়ে বৃষ্টি। সমস্ত বৃষ্টি এই ঘুম ধুয়ে নিয়ে যে পৃথিবীর সামনে দাঁড় করিয়েছে তার স্বর্গ নেই, নরক নেই — অথচ প্রবল যন্ত্রণা, মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে কিন্তু ভাস্করবাবু, বিশ্বাস করুন, আমাদের স্যারিডন-টুকুও কেড়ে নিয়েছে কেউ! এর বিরুদ্ধে আমরা কেউ আন্দোলন করতে পারি? নিদেনপক্ষে একটা স্বর যা খানিকক্ষণ পর ভেঙে ভেঙে ছড়িয়ে পড়বে হাজার হাজার মুখে এবং মৃত্যুর স্বাধীনতাটুকু স্বীকার করে নেবে?