ক বি তা
কয়েকটা মৃত বাঁশপাতা দিয়ে
আয়না ঢাকতে গিয়ে
হারিয়ে ফেলেছি পিতামহের আলজিভের ছায়া;
আমি পথ বিক্রি করতে করতে ফিরে আসি ঘরে
ইঁদুরগুলো ক্ষিদে পেট নিয়ে
ছুট্টে পালিয়ে বাঁচে পাশের-বাড়ি…
বাকি তিন ভাইবোন আর শতাব্দী প্রাচীন মা,
অন্ধকারে বসে লুডোর দান চালে; তিনজনের
কেউ একজন ‘খেতে দাও’ চিৎকার করলেই
কাটার-দান পড়ে মায়ের হাতে!
ঘুমোতে যাবার আগে,
বাতিল নোঙরের ছাইবালিশের ভিতর
মা সবকটা ওঠা-র দান জমা করে গেলে,
পরদিন সূর্যের পিঠে চেপে, সংসারের
বুলডগের শেকলের ফাঁসে অভিনেতা হয়ে
তলিয়ে যেতে সক্ষম হই
তোমার ভেতর ঢুকে পড়ি রোজ আমি
যেভাবে হাওয়া পিয়ানোবাদক চেনে
নিচু স্বরে জমা হাইফেন আর সরোদ
স্মারকের ছুটি নিলামে যেমন কেনে
এ হাওয়ার পিঠে স্বরবৃত্তরা মাটি…
পচে যাওয়া কোনো শক্ত হাতের রেখা
তোমার ভেতর লাল চক্ষের বেত
আমাকে পড়ায়, যেসব হয়নি শেখা
যেভাবে স্মৃতির ধারের পোশাক খুলে
মাংস-মাদক সরিয়ে রেখেছে আহার
ছেনির জঠরে তোমাকে আনতে গিয়েই
ভাঙা পড়ে শুধু দীর্ঘ তাসের পাহাড়
ঢুকে পড়ি রোজ, ব্যবস্থা নেই ফিরব,
প্রতিদিনই স্রেফ আকার নিচ্ছি ফের…
স্ফটিকের তালি দূরবীনে দেয় লিখে
চোখে চোখ রাখা—কর্পূর আমাদের!