কবির কলমে | ছো ট গ ল্প ২
জানালার কাচে সাদা কুয়াশা ঢলে পড়েছে। বেড-এর পাশে পর্দা সরিয়ে অনিরুদ্ধ একবার বাইরে তাকিয়ে নিল। আকাশে থরে থরে মেঘ সাজানো। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শীতের প্রকোপ অনেকটা থাকেনা বললেই চলে। কিন্তু এসময়ে বৃষ্টি! বিছানা ছাড়বার আগেই শুরু হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যে সাদা কাচ বেয়ে নেমে এলো প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার। প্রকৃতির মেজাজ এখন বোঝা মুস্কিল। আবহাওয়া দপ্তরের প্রতিবেদনে হয়তো এই বৃষ্টিপাত বিনা নির্ঘন্টে ঢুকে পড়েছে।
চোখ কচলাতে কচলাতে ওয়াশরুমের পরিবর্তে ব্যালকনির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল অনিরুদ্ধ। হালকা ঠান্ডা ওয়েদার, তার ওপরে অসময়ে এই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি। বৃষ্টির ছাট বেশ আরামদায়ক। হাওয়ার সঙ্গে জলের গুঁড়ো চোখেমুখে লেপ্টে থাকে। হয়তো এর জন্য অনিরুদ্ধর প্রিয় ঋতু বর্ষা। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে সরু প্যাসেজের দিকে দু’পা এগিয়ে গিয়ে অনিরুদ্ধর হঠাৎ চোখ পড়ল সিসিটিভির স্ক্রিনের দিকে। দুটো ছায়া ঝাপটে আছে না! না। ছায়া দুটো নড়েচড়ে বেড়াচ্ছে। জীবন্ত মানুষ যেন! হ্যাঁ, মানুষই তো। অনিরুদ্ধর চোখ আটকে গেল সিসিটিভি স্ক্রিনে। বঁড়শিতে বাঁধা মাছের মতো ছায়া দুটো নড়েচড়ে বেড়াচ্ছে। একবার দূরে সরে যাচ্ছে আবার হঠাৎ লজ্জাবতী পাতার মতো গুটিয়ে যাচ্ছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখতে দেখতে অনিরুদ্ধর চোখের আধমোড়া ঘুম ও বৃষ্টি হাওয়ার যৌথ সঙ্গমের দৃশ্য দেখবার ইচ্ছেটা যেন মুহূর্তে হারিয়ে গেল।
সিসিটিভির স্ক্রিনে পরিষ্কার করে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ছায়ার মালিকদেরও নয়। শুধু তাদের ছায়াটুকুই ধরা পড়েছে সিসিটিভির ফুটেজে। তবে ছায়ার মালিক যে দুজন যুবক যুবতীর সেটা এতক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গেছে অনিরুদ্ধর কাছে। একবার তারা হাত ধরে একে অপরের থেকে একটু দূরে সরে যাচ্ছে আবার চিলের মতো ঝাপটা দিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে। হয়তো চুমু খাচ্ছে। ছায়ায় পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না। ঝড়বৃষ্টির জন্য ল্যাম্পপোস্টের আলোও যেন নিজেকে অন্ধকারে ঢেকে নিয়েছে। এক পায়ে দাঁড়িয়ে, এক চোখে নির্লজ্জের মতো এসব দৃশ্য না দেখাই ভালো। বেশি উত্তেজিত হলে তার চোখের ফেটে পড়বার সম্ভাবনা আছে। এ ভয়েই হয়তো নিজেকে গুটিয়ে তির্যক চোখে মুখোমুখি দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে। হলুদ দেওয়ালের নীচে রঙচটা কালো ছোপ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে আর দেখা যাচ্ছে ওই দুই যুবক যুবতীর ছায়া।
কয়েক বছর আগে বাড়ির চারপাশে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। চওড়া রাস্তায় বিশাল বাড়ির মেইন গেট। এছাড়াও সরু গলিতে গেট রাখা হয়েছে। পাশেই গ্যারেজ। গ্যারেজের শেডের নীচে এক ধারে দাঁড়িয়েই দিব্যি গল্প করছে দুজন। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় গ্যারেজের সামনের চাতালে এসে পড়েছে তাদের নির্লজ্জ ছায়াছবি। হলরুমের জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছাট ঘরে ঢুকতেই মা দৌড়ে এসে জানালা বন্ধ করে দিতে দিতে বলল, ‘কি দেখছিস এত মনোযোগ দিয়ে? চা খাবি তো?’
মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল, ‘সন্ধে গড়িয়ে গিয়েছে। আমাকে ডেকে দিলেই পারতে।’
মায়ের কানে অমনোযোগী অভিযোগ পৌঁছনোর আগেই মা ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছেন। রান্নাঘর থেকে বাসনের আওয়াজ ভেসে এলো। অনিরুদ্ধ সিসিটিভি থেকে চোখ সরিয়ে টিভি চালিয়ে শোফার ওপর বসে পড়ল। নিউজ চ্যানেল উল্টে পাল্টে একই খবর। তবে খবরের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন শুরু হচ্ছে। ঘনজনবসতিপূর্ণ এই দেশে এই ভাইরাস কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি করবে, অদূর ভবিষ্যৎ কী এবং ব্যক্তিগত সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির কথা ভাবতে ভাবতে বিমর্ষ মনে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল অনিরুদ্ধ।
দুদিন না পেরোতেই শুরু হয়ে গেল লকডাউন পিরিয়ড। সারাদিন বাড়িতে বসে, অফিসের কাজ ছাড়াও নিজের লেখালেখিতে ডুবে গেল সে। রান্নার মাসি এমনকি অতিথি বলতে কেউ ইদানীং আর বাড়িতে আসছে না। নিজের কাজের সঙ্গে অতিরিক্ত যোগ হল বাড়ির নিত্য ঘরোয়া কাজ। সিসিটিভি ফুটেজেও সারাদিনে দু একটি গাড়ি অথবা দু’একটা মানুষের যাতায়াত ছাড়া আর কিছু লক্ষ্য করা গেল না। কিন্তু সন্ধের পরে গ্যারেজের সামনের ছায়াদৃশ্যের কোনো বদল ঘটল না। সারাদিনের পর সিসিটিভির ফুটেজও যেন অনিরুদ্ধর সঙ্গে হাঁপিয়ে অপেক্ষা করে থাকত এই দৃশ্যের জন্য। প্রথম দিন অনিরুদ্ধ এহেন বেহায়াপনায় বিরক্ত হলেও এখন তার বেশ ভালোই লাগে। যেহেতু ঝড়বৃষ্টি নেই তাই ছবিটাও প্রথমদিনের তুলনায় এখন অনেক পরিষ্কার। সন্ধের পর দুজন এসে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গল্প করে। কখনও একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। স্যানিটাইজার, মাস্ক সব দূরে সরিয়ে রেখে গভীর চুম্বনে দুজন দুজনকে জড়িয়ে রাখে শীতকালীন উষ্ণতায়। অনিরুদ্ধ ভ্রু কুঁচকে নিজেই নিজেকে বলল, প্রেম সব পারে। অন্তত ভালোবাসার ভাইরাস করোনা ভাইরাসের চেয়ে কম সংক্রমণাত্মক নয়।
মার্চ এপ্রিল পেরিয়ে মে মাস গড়িয়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীন বিষণ্ণতার দীর্ঘশ্বাস ইদানীং নিউজ চ্যানেল ছাপিয়ে জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ছে। আমফান ঝড় বাংলার মাথার ওপর থেকে ছাদ কেড়ে নিয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকরা পশুর মতো খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে পোকামাকড়ের মতো রাস্তায় শ্মশানভূমি তৈরি করে নিয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব করোনাকে ধুয়ে মুছে শেষ করতে পারেনি। বরং নতুন নতুন জায়গায় এসে সে থাবা বসিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে হিমশীতল করবার জন্য তার জিহ্বা যেন আরও লকলক করছে। কে জানে এই মৃত্যু মিছিলের শেষ কোথায়।
এত সব ঘটে যাবার পরেও সিসিটিভির স্ক্রিনে রোজ সন্ধের পর সেই একই ছায়াদৃশ্যের অবতারণা! অনিরুদ্ধ মনে মনে ঠিক করল একদিন ওদের সামনে থেকে দেখতেই হবে। ছায়া শরীরদের রক্ত মাংসের জীবন্ত রূপ না দেখলেই নয়। একটা অদম্য তাগিদ খেলা করে বেড়াতে লাগল অনিরুদ্ধর মনের ভেতর। তার দৃষ্টিতে কালো দুটো ছায়ার মধ্যে ফুটে উঠল আদম আর ইভের ছবি। চারপাশের এত ভয়াবহতার মধ্যে এই দুজন কীভাবে এতটা নিরুত্তাপ, এতটা উদাসীন? এরা যেন এক অন্য পৃথিবীর বাসিন্দা অথবা অন্য এক পৃথিবী রচনার আনন্দে মশগুল। একদিকে ধ্বংস অন্যদিকে সৃষ্টি। একটা অদ্ভুত আতঙ্কে তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ওঠে। যদি ধ্বংসের কালো ছায়া ওদের পৃথিবীতেও এসে পড়ে। ল্যাম্প পোস্টের হলদে আলোয় কালো দুটো ছায়া নড়েচড়ে বেড়াতে থাকে। একবার নিজেদের ভেতর গুটিয়ে দলা পাকিয়ে যায় আবার আলাদা হয়ে যায়। গাছের সরু ডালের মতো এখন তারা একে অপরের হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে। অনিরুদ্ধর মনে ভেতর একটা স্বস্তিবোধ কাজ করতে থাকে।
লকডাউন কবে উঠবে ঠিক নেই। এভাবেই কাটতে থাকে অনিরুদ্ধর দিন। সারাদিন অফিসের কাজ, লেখালিখি আর সন্ধের চায়ের সঙ্গে একপাশে টিভির নিউজ আর অন্যপাশে সিসিটিভির ফুটেজে আবছা দুই যুবকযুবতী ছায়া। একদিকে আক্রান্ত, ধ্বংস ও মৃত্যু আরেকদিকে আগামীর পরিকল্পনায় প্রত্যেক মুহূর্ত একে অপরকে ছুঁয়ে উপলব্ধির পরম পবিত্র দৃশ্য। অনিরুদ্ধের মনে হল, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে এরা যেন জেহাদ ঘোষণা করছে, ‘আমরা বেঁচে থাকব। পরস্পরকে জড়িয়ে বেঁচে থাকবো আবহমান।’ ‘লকডাউন ইভিনিং শো’ নামে একটা গল্প লেখাও শুরু করল সে। না, সামনে গিয়ে ছায়া শরীরদের রক্ত মাংসের শরীর আর দেখা হয়ে ওঠেনি তার।
রোজকার এক দৃশ্য কয়েক মাসে একরকম অভ্যেসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল অনিরুদ্ধর। কিন্তু দেখতে দেখতে রোজকার সেই দৃশ্যেও যে একটু একটু করে পরিবর্তন হচ্ছিল তা পারিপার্শ্বিকতার চাপে অনিরুদ্ধের চোখে পড়েনি। তাই তো! আগে তো সেভাবে খেয়াল করিনি ব্যাপারটা। কোথায় সেই জড়াজড়ি করে থাকা কালো দুটো ছবি… কখনও কখনও দলা পাকিয়ে যাচ্ছে আবার কখনও একটু সরে যাচ্ছে একে অপরের থেকে। দেখে মনে হচ্ছে কেমন একটা ঢিলেঢালা সোয়েটারের ভেতর দুজন একসঙ্গে ঢুকে পড়েছে। কই সেই ছায়াদের ঘন হয়ে যাওয়ার দৃশ্য। একটু অপেক্ষা করেই দেখা যাক না। অনিরুদ্ধ উৎসুক ভাবে তাকিয়ে থাকে সিসিটিভির স্ক্রিনের দিকে।
কয়েকদিন পর দেখা গেল দুটো ছায়া মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলছে। ছায়া দুটোর মধ্যে হাতের সেই ঘন বন্ধন নেই। তার দু-তিন দিন পর ছবি দু’টোর মধ্যে অনেকটা দূরত্ব লক্ষ্য করে অনিরুদ্ধের মন ছটফট করে উঠল। ওদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি হয়নি তো? আগামীকাল থেকে লকডাউন উঠে যাচ্ছে। হয়তো এবার দিনের আলোতে দুজন দু’জনকে মন ভরে দেখবে কোনো পার্কে বা শহরের অন্য কোনো নিরিবিলি জায়গায়, আবার আগের মতো জড়িয়ে ধরে চুমু খাবে… নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে আগামীকাল থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিল অনিরুদ্ধ।
রাস্তায় লোকজন বের হলেও একটা থমথমে পরিবেশ। এতদিন পর সবাই বাইরে বেরিয়েছে। দমবন্ধের ছটফটানি থেকে প্রাণ খুলে শ্বাস নিতে চাইছে, মাস্কের গায়ে ঝরে পড়ছে পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গির দীর্ঘশ্বাস। আজ বাড়ি ফিরতে একটু রাতই হয়ে গেল অনিরুদ্ধর। একেবারে ডিনার সেরে নিজের ঘরে এসে সিসিটিভিটাকে রিওয়াইন্ড করে সন্ধের দিক থেকে চালিয়ে দিল সে। কিন্তু দুটি ছায়ার জায়গায় একটি ছায়া কেন? অনিরুদ্ধর চিনতে ভুল হল না এটা ওই যুবতীটিরই ছায়া। ছেলেটি তবে কোথায় গেল? ধক করে উঠল অনিরুদ্ধর বুকের ভেতরটা। মেয়েটি অপেক্ষা করছে। অনিরুদ্ধও অপেক্ষা করছে। প্রায় এক ঘন্টা পেরিয়ে গেল। দৃশ্যের কোন পরিবর্তন হল না।
লক ডাউন উঠে গিয়েছে পনেরো দিনেরও বেশি হয়ে গেল। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে মেয়েটির নিঃসঙ্গ প্রতীক্ষার ছবির কোন পরিবর্তন হল না। মেয়েটিকে এভাবে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দেখে অনিরুদ্ধের মনও কেমন ছটফট করে উঠল। একবার তার মনে হল, একটু পিছিয়ে দিয়ে তাদের যুগ্ম ইভিনিং শো-টা দেখবে কিন্তু সময়ের সঙ্গে পুরনো ছবি মুছে গিয়েছে। মহাকালের সিসিটিভিতে তা সেভ করা থাকলেও, অনিরুদ্ধের সিসিটিভিতে তার কোনো রেকর্ড নেই। সুতরাং সেই পুরনো দৃশ্যের আশায় আর নারী মূর্তির অসম্পূর্ণতার দৃশ্য বদলের প্রতীক্ষায় নেশাগ্রস্তের মতো সে সিসিটিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইল দিনের পর দিন । অথচ রোজই অনিরুদ্ধের চোখের সামনে ভেসে ওঠতে লাগল একই দৃশ্য। চারিদিকে অন্ধকার আর নিস্তব্ধতাকে উপেক্ষা করে রোজই মেয়েটি এসে দাঁড়িয়ে থাকে গ্যারেজের ছাউনির নীচে। তার ছায়া কখনো একা একা নড়েচড়ে বেড়ায় গ্যারেজের চাতালে।
আজ সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অনিরুদ্ধের মনে পড়ল এমনই এক বৃষ্টির দিনে হঠাৎ করেই সে সিসিটিভি ফুটেজে চোখ রেখে আটকে গেছিল দুটি ছায়ার মায়াজালে। আজ সন্ধের আগেই বাড়ি ফিরে এল অনিরুদ্ধ। চারপাশে ঝমঝম বৃষ্টির শব্দ, ল্যাম্প পোস্টের হলুদ আলোয় বৃষ্টির গুঁড়ো ঝরে পড়ছে অনবরত। আজও কি মেয়েটি এসে একা একা অপেক্ষা করে ফিরে যাবে? এমন সুন্দর বৃষ্টির দিনেও অনিরুদ্ধর মনে হল, তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে। সিসিটিভি থেকে চোখ সরিয়ে উঠে দাঁড়াল অনিরুদ্ধ। বিছানায় যাবে, এমন সময় হঠাৎ মনে হল সিসিটিভির স্ক্রিনে কি যেন নড়েচড়ে উঠল। মনে হল দুটো ছায়া গ্যারেজের সামনেটায় যেন আগের মতো জড়িয়ে দলা পাকিয়ে আছে। অনিরুদ্ধ নিজেকে সামলে নিয়ে আবার শোফায় বসে পড়ল। দু’হাতে ভালো করে চোখ কচলিয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখল স্ক্রিন জুড়ে অন্ধকার। কারেন্ট চলে গিয়েছে। প্রচন্ড বজ্রপাতের সঙ্গে হাওয়ার ঝাপটানি আরও কিছুটা বেড়ে গেল।