ক বি তা
সত্যি হল এই,
যে তোমার আর আমার মধ্যে
সমতানের সম্ভাব্যতা নিয়েই
জন্ম নিয়েছে এই অন্তরাসী গ্রহ
আমি তার মাথার বালিশে
‘মৃত্যু’ ছাড়া সব শব্দই ঢুকিয়ে দিয়েছি
আমি তাকে শিখিয়েছি
কোথায় কতটুকু আলো পড়লে–
সে জানে,
কখন কোন রাস্তা চোখের ভিতর দিয়ে
প্রীতিময় পর্যন্ত
সে জানে,
কিভাবে বৈরাগ্যের চরমে নির্মিত হয়
কৌপিন
কৈশোরেই তন্ত্র চিনিয়েছি গ্রহকে
যে তন্ত্রের মধ্যে আছে অনুশীলনের নির্যাস,
যে তন্ত্রের মধ্যে আছে তর্পণের প্রাজ্ঞ উপাদান
কল্যাণের উপর লাফিয়ে পড়েছে যে রোদ,
এই শহরে সে খুঁজে দিতে পারে না
তুমি যেদিকেই যাও
স্মৃতিকে শেকড়ের মুখে রেখে এসো।
যারা এখনও আনন্দভস্ম মাখেনি কপালে
তাদের জন্য
চিরজীবী হও,
প্রীতির পূর্ণ স্থণ্ডিল হয়ে ওঠ,
অন্বিত অর্থনায় জীবনকে সাজাও আমান।
হতে পারে তোমার ঘরে কখনও নদী এসে শুয়ে থাকেনি সন্দেহের মতো।
হতে পারে তোমার কথার চৌকাঠ ডিঙিয়ে আসেনি পরশ্রীকাতরতা।
বিষণ্ণ বিকেলে এক অপূর্ব বাদামি মূর্ছনা নিভৃত করে তুলেছিল দু’জনকেই–
সূর্যাস্তে নিঃশর্ত নির্ভরতা ছিল বলেই
তোমার শূন্যতার মধ্যে কোনও দাহ ছিল না।