ক বি তা
কে?
এইভাবে একটি স্বপ্নের শুরু হতে পারে
তা আমি কখনো ভাবিনি।
মশারির এককোণে মধ্যরাতে বসে আছে ও।
ও কে?ওই নীলডোরা, গেঞ্জি, হাফপ্যান্ট,
কপালে এসেছে চুল,হাঁটু মুড়ে,ও কে?
ভয় পাই আমি। জল খাই।
এভাবে মুহূর্ত অদৃশ্য হয়।
ফিরে আসে, আবার বাজারে!
মাছের গন্ধ থেকে সরে গুদামের পাশে
অন্ধকার,চোখ জ্বলা,হাঁটু অবিকল, দেখি
আঙুলগুলিও মুড়ে গেছে তবু
কুঠো হাতে কী শীতল!
গৃহে ফিরে বসি!
এখন বর্ষাকাল, তবু ঘাম দরদর করে।
পাখার তিনটি ব্লেড,বসে আছে
বালক না বৃহৎ ঊরগ
কিচ্ছু বুঝিনা
চেয়ে থাকে, কেন, কী চায়!
এক ফোঁটা রক্ত পড়ে মুখে।
যে সন্তান মরে গেছে পূর্ববিবাহে,
ভাবি,কোন লোক থেকে
এ দূরত্ব ভেঙে এলো,
কিছুতেই কাঁধ থেকে নামবে না ;
হাসবে না, নিশ্চল
কুঠো ঠুঁটো রস
আঠালো হওয়ার আগে
এই অবৈধ দেহ আমাকে
প্রেতার্থে পুত্রার্থে
বারবার বারবার বারবার
ঘন ও খনন করবে ও।
এই জন্মে আর আমার সংসার হল না।
হয়তো পরেরবার দেখা হবে তোমার সঙ্গেই।
এক আঁধার জঙ্গলে, কোনো ভাঙা মন্দির
হলুদ লতাপাতা,হয়তো প্রদীপ
আমি জ্বলে থাকব শিবের মতন।
সে যেন ইতিহাস, সে যেন শুকনো নদী,
তোমার নতুন স্বামীর সূর্য, দেখো বেঁচে থাকব মন
এই জন্মে আর আমার হল না কিছুই,
এই অ-সহন, হয়ত পরেরবার
এই ক্ষয়! থাকবে না! থাকবে না।