ক বি তা
এই যে রাস্তাটা দেখছ
ও আমার বাড়ি যায়নি কখনো
ডাকিনি যে তা নয়
তবে আগামী জন্মের টান
ওকে আসতে দেয়নি আমার গভীর কালো
বাড়িটার কাছে
এমনও হতে পারে কাঁটার চেয়ে
হলুদ হলুদ পাপড়িকেই ওর সত্যি মনে হয়েছে বেশি
হতে পারে এ কারণেই বাতাসের সাথে সখ্য
ওকে নিয়ে গেল দূর দেশে
ভালোবাসাকে ও বুঝেছিল নিজের মতো করে
বাড়ির পাশ ঘেঁষে যাওয়ার সময়
উস্কোখুস্কো চুল আর শুকিয়ে ওঠা মুখের
ছায়া নিয়ে বলেছিল
খেলাচ্ছলে এই পৃথিবী একদিন হয়ে উঠবে
স্বর্গীয় আঁধার
যেখানে শ্বাসের শব্দ ভিজিয়ে নিতে
আমরা আবার একত্র দাঁড়াব
অন্ধকারেও তিনি চিনে নিতে পারেন
ধ্বনির ইঙ্গিত
হাজার হাজার পাখির আড়ালে থাকা
বিকেলের শবগান
পৃথিবী অবাক হয়ে দেখেছে
কীভাবে রোজ রোজ
জল থেকে ছেঁকে তোলেন আয়ু
কীভাবে প্রতি আয়ুদেহে লিখে দেন
কচি কচি মুখ
স্বেদ শোণিতকণায়, হে রুদ্রেশ্বর,
আপনারই গড়ে তোলা লাল লাল মেঘ
ঘন কুয়াশার ঘোরে নেশা হয়ে ঘোরে
সে নেশায় বুঁদ পৃথিবী ডেকে এনে সকলকে দেখায়
কীভাবে একদিন নিশ্চিন্তে আপনি ছিঁড়ে নিলেন জিভ
আর ছেঁড়া জিভে লিখে দিলেন দেবী বন্দনা