ক বি তা
এই যে আমি লবণের পাহাড়ে বসে জপছি সমুদ্র
কেন আমি খাদ্য হইনি তিমির?
এই সব প্রশ্ন যখন কেউ আমার দিকে ছুঁড়ে দেয়
আমি তখন শুনতে বসি দাউদ নবীর গান
আহ! আমি যদি মাছের থেকে পেতাম কিছু সুর?
সেদিন ইউনূস নবীর মতো আমিও ঢুকে পড়ি পাবদা মাছের পেটে
বিক্রি হয়ে যাই রামলাল বাজারে এক যুবতীর নীল শাড়ির পাড়ে
কেন আমিও বাঁচতে চেয়েছি অন্যের চেহারা নিয়ে?
কাটাকুটি শেষে সে ভাজি করে আমার তাড়নার রিপু
আর পুরনো জানালায় জলপান কচুর লীলায় টলটল করছিল প্রেম
আমাকেও করে দিলো বিলি, হাতে হাতে
মানুষের মুখে উঠে আমিও হলাম যেন দুলদুল ঘোড়া
তারপর আমরা যখনই পেরিয়ে গেছি যাদবপুর রেললাইন
সন্ধের গনগনে আধারে যেন তা হয়ে ওঠে পুলসিরাত
আমারাও কী একই পালকের দুই পাখি তবে?
হায় খোদা, আমাকে মাফ করো দাজ্জালের মউত
এই যে মাছের অতীত আর মানবীর বর্তমান
তার মাঝে আমাকে কেন দান করো ভূত ভবিষ্যৎ?
আমাদের পাখির স্বভাব নিয়ে হেসেছে তাবৎ হিন্দুস্থান
আমার বন্ধুকে তুমি সঙ্গী করো ইমাম মাহদীর
আর তাকে ক্ষমা করে দান করো মহিমা তোমার।
বাতাসে যেই কাঁপে সবুজ স্মৃতির পাতা
আমি ভাবি, সেই বুঝি ছেড়েছে দীর্ঘশ্বাস
প্রশ্বাসেরা ছোট ছোট জানালার মতো উঁকি দেয়
হুট করে দরজা খুলে কেউ ডাকে, বিশ্বাস শোনো?
প্রভু আমরা আসলে চিরকালীন জুটি
ভালোবাসা ছাড়া আমাদের চাওয়া-পাওয়া নেই
দুজনকে আমরা বিশ্বাসের দানায় গেঁথেছি
ভুলেও কারো ক্ষতি হোক তা কামনা করতে ভয় পাই
আমাদের সততা সূর্যের গায়ের মতো তেজি ও উজ্জ্বল
তবু শখের ঘোড়ায় তার কিছু ক্ষতি ঘটে গেছে
সেইসব সাধন-ভজনের দিনে লজ্জা পুষে রাখি
লাজুক হাসির সীমানা পেরিয়ে আর যদি যাই
কীভাবে হলুদ পায়ের ধুলো গ্রহণ করব আমি?
আমরা পরস্পরের সখা ছিলাম
অনেক দিন অবন্ধু হয়ে আছি
তার প্রোফাইল শুনতে পাই না
আমাকে পর করেছে তার ছবি ও লেখা
আমি দূরে- বহুদূরে
কোনো সম্পর্ক ছাড়াও
তার সম্পর্কে সবকিছু
মন কেন দখল করে রাখে?