ক বি তা
অপেক্ষায় জারিত দিন যাপন৷ বিন্দু বিন্দু কুয়াশাকে প্রলেপাশ্রিত করে মরমে গচ্ছিত রাখা৷ আশা যাওয়ার ফাঁকটাতে যোগ-বিয়োগের শুধু শাশ্বতিক পদচারণ৷ বহু জন্ম পেরিয়েও, প্রতিজনমে শুধু খোঁজ একই পুরুষের৷ উঠোন ছেঁচে আয়ু কুরিয়ে রাখি৷ বিংশ শতাব্দীর অরণ্য পেরিয়েও তোমার চেনা ঘ্রাণজ উত্তাপ এখনও প্রবল জ্বরের মত লেগে আছে আমার শরীরে৷ তুমি বসন্তবায়ুর মত রহস্যময়৷ চক্রাকারে রক্তের স্রোতে প্রতি ভূমিষ্ঠলগ্নে ওঁ ধ্বনিতে অনুরণিত হয়৷ আমার জাতিস্মর জন্ম ব্রহ্মাণ্ড চষে প্রতিবার তোমার নিরবধি মধুকাল চিনে নেয়৷
আর প্রতিবারই আমি মিলন-সমুৎসুক হয়ে উঠি৷
কতবার জীবন আঘাত মেখে অন্ধকার বিলিয়ে বেড়ায়। তুমি চন্দন গন্ধ উড়িয়ে ঢেকে দাও বিষাদের আড়ম্বর। অক্ষমতার কালরাত্রি চিবিয়ে খাওয়ার আগে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে নিষ্ক্রিয় কর সম্ভাবনা। চরম অভাবে ঈশ্বরী হয়ে কোন অত্যাশ্চর্য ক্ষমতায় আমাদের পাতে বেড়ে দাও শান্তি, আর তুমি আধপেটা বা না-খাওয়া রাত্রি যাপন কর। ক্ষয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোয় শ্যাওলা ধরার আগে তোমার আশিসে লেপটে পুনর্জন্ম নেয়। যন্ত্রণা আড়াল করতে করতে আজ তুমি গাছ হয়ে গেছ। যে গাছ ধমনী বিস্তার করেছে আমাদের জীবনের পান্ডুলিপির পাতায় পাতায়। প্রতিটি দিন মাকে আরও নিবিড় হতে দেখি, আমাদের প্রতিটি ইন্দ্রিয়ের প্রকোষ্ঠে।