ক বি তা
বেশি কিছু চাইবার ছিল কি আদৌ?
হেমন্ত চেয়েছিল নখপূর্ণিমার আদর,
গর্ভে শিশুধান!
বিধবার দীর্ঘশ্বাস মরাই নিজের কোমরে বেঁধে রাখতে চেয়েছিল –
বুঝি এসবই বেশি বেশি চাওয়া!
তবে আমি আর বেশি কিছু চাই না তোমার থেকে;
অর্কিডের সুধায় গাছ যেভাবে নিজের বিষাদটুকু লুকিয়ে রাখে
আমার লেখাকে তুমি তেমন হেমন্ত দিও একটা।
তোমার পালকির কাঠকে আমার লেখার
অমরত্ব দিও।
হাঁসের সাদা মেখে বিধবা সেজেছে পুকুর।
কালো জলে উবু হয়ে বাসন ধুয়ে নিচ্ছে বিষাদের ছায়া।
নিজেকে ভিজিয়ে নিতে পারলে বাসনের অবগাহন কান্নার সুর তোলে গলায়,
টুপটাপ পাতা খসার শব্দ জলের অশৌচ নীরবতা ভেঙে
তাল দিতে থাকে,
ঘুঘুর চেরা গলা চুমু ছুঁড়ে দেয় হলদে বাতাসে।
রোজ রাতে কবরে ফুল দিতে যায় যে সাদা রঙের নারী,
বাসন তার একক প্রিয়ংবদার নাম