শূন্য হই
রাঙার সাথে ঈষৎ হলদে এবং কিছুটা কমলা–
অনেকদিন পর আলোর এই ত্রিবেণীতে বসে
আকণ্ঠ পান করছি বৃষ্টি পরবর্তী বিকেলের মঞ্জিমা ৷
এরকম কত বিকেলেই তো আমরা
নদীর পার ধরে হাঁটতে হাঁটতে হারিয়ে যেতাম
একে অপরের মাঝে– আর কিছু নয়,
শুধু একটি বসন্তবৌরি উড়ে এসে বসতো
আমাদের হাতের সন্ধি-পুষ্করে ৷
মনে পড়লেই কাঞ্চনজঙ্ঘা হেসে ওঠে
আর সেই পাখিটি এসে বসে আমার চিত্রায়ণে ৷
হঠাৎ দেখি, টেবিলে রাখা গীতবিতান হয়ে উঠছে
সিঁদুরে রাঙা একটি বেনারসির আঁচল…
আমি বিকেলের অনুপান ফেলে এসে
তার ওপর মাথা রেখে শূন্য হই ৷
ব্যথা
একটি বিচ্ছেদ এভাবে চিরায়ত হবে ভাবিনি ৷
নবান্নের ধানের মতো আমি তাকে দু’হাত ভরে
ঘরে তুলে রাখি ; বুকেও…
উল্টোদিকের পথ এঁকেবেঁকে বহু আগেই উধাও,
তারই মলিন চিহ্ন ছুঁয়ে পাথর হই–
পাথরের মাঝে কী দারুণ সন্তাপ !
বিচ্ছেদের পায়ের নীচে যে বীজ আমরা রেখেছি,
দ্যাখো, বারো বসন্ত পর তা এখন
ফুলে ফুলে পরিপূর্ণ এক জারুল ৷
সময়ে-অসময়ে এর নীচে বসেই
মনের মণিকোঠায় রাখা স্মৃতিকে
বের করে দেখি… আরও নতুন হয়ে ওঠে ব্যথা ৷