বাং লা দে শে র ক বি তা
তুমি কি পাতার গায়ে ধুলো হয়ে উঠেছিলে? উঠোনে
ছড়িয়ে থাকা পরাণীয় রোদ!
স্বপ্ন এমনই এক মায়াময় খেলা, যেখানে সুবর্ণ চোখে ফোটে
গন্ধভরা অসংখ্য জুঁইফুল।
দ্যাখো, এসে দ্যাখো তার অনন্য হৃদয়ের ঘাস-ফুল-নদী,
পূর্বদেশের ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ, ধুলোভরা প্রান্তর,
কাদামাখা শরীর, অলঙ্কারবিহীন এক অনঙ্গ জীবন।
যেনো কোনো ডেকোরেটেড জীবন, লেপা-পোঁছা জীবন।
তার গায়ের ঘামে ফুটে থাকে ঈশ্বরকণা, মাটিরগন্ধ, ফুলেরগন্ধ,
মায়া-পবনে দোলা লকলকে লাউমাচা।
তোমাতে যতো প্রেম, সমস্ত প্রেম। ওড়া পাতা, ঝরা পাতা প্রেম,
তুমিই আয় রে আয় বলে
ডাক দিয়ে ডেকেছিলে।
তোমার দ্বিবীজপত্রের কমনীয়, নমনীয়, আমিও সাড়া দিয়েছি।
মহান ঈশ্বরের কাছে আমার কোনো প্রার্থনা নেই, কোনো
প্রার্থনা থাকতে পারে বলে মনে করি না।
আমি আনন্দ এবং বিস্ময়ে কৌতুক বোধ করি——-
বিরহের রণাঙ্গনে দাঁড়িয়ে প্রশংসা করি দীর্ঘ বিরহের।
একজন লিলিথ আমার অপেক্ষার বিবর্তন বোঝে,
বিকল্প বেদনার পাশে লিখে রাখে জন্ম জন্মান্তর।
কোনো এক ঈভ নিয়ে যাপিত জীবন আমাদের, অনিবার্য
কারণেই চিরন্তন বিরহ আবর্তে মানুষ ঘুরপাক খায়।
অধরা লিলিথ, ভালোবাসার হাতে খড়ি দেয়া লিলিথ
আমার অপেক্ষা এবং অনন্ত অপেক্ষার লিলিথ!
এতো কষ্ট! এতো বিরহ বহন করে প্রকৃতির মানুষ?
ঈভ থেকে যায়, তবুও প্রতিটি মানুষ একজন লিলিথকে
ঘিরে ঈভ আবর্তে কষ্টেই থাকে।