ক বি তা
এক বুক উচ্চাশা দিয়ে লেখাটিকে উচ্ছন্নে পাঠিয়ে
সভামঞ্চ আলো করে এসে বসে কবি।
সুন্দরী, বিনয়ী, ভদ্র পাঠিকাটি অতি সাধারণ
সামনের সারিতে বসে। তাকাতে গিয়েই
যতবার চোখে চোখ পড়ে হৃদয়ে ছলাৎ শোনা যায়।
জিজ্ঞাসুর প্রত্যুত্তর মুগ্ধতা যে নয়
প্রেক্ষাগৃহে সব মাইক্রোফোন পলকে নির্বাক।
অথচ শোনার ছিল, যে এত সুন্দর করে
নির্জন সাজায়, কোন সে গহনে তার রঙ-তুলি রাখা !
কোন মধুবাতা তার গুমঘরে এতদিন চামর দোলাতো।
রমণীয় হতে গিয়ে সন্ধ্যা হল বিষাদবিধুর
সেই রাত্রে বাড়ি ফিরে কবি শুধু লিখতে পারল
একটিই শব্দ—- তিন অক্ষরে ‘ক্ষরণ’
কেটেকুটে যাই লেখে হ’য়ে যায় শুধু প্রবচন।
ভাঙো,
দশচক্রে ভগবান ঘোরে।
সড়কের পাশে পাশে পাহাড় চলেছে।
সে আমার উল্টোমুখে,
আমারই যাবার তাড়া বেশি।
ও তো এসে অনেকক্ষণ বসে আছে
বাড়ির সদরে।
দরজা খুলে দিতে হবে।
বিছানায় পড়ে আছে কবেকার বাসি
চাদর, পাল্টাতে হবে।
কতবার যে বলেছি : একটাও অন্তত
ফোন করে এসো।
মায়া, বড়ো মায়া—
যতবার ভাঙতে গেছি
সামনে এসে হাত তুলে দাঁড়িয়েছে ওই
ছায়া।