ক বি তা
হিসহিস করে কেউ ডাকে মধ্যরাতে
‘বিকাশদা বিকাশদা বিকাশদা’ করে ডেকে যেতে থাকে নিশি
দরজা না খুলেই বেরিয়ে আসি আমি
ছায়া ছায়া তার পিছু চলে আসি মাঠে
পেরিয়ে যাই শালবন, গোলাপবারান্দা, চুপ মসজিদ
ফিসফিস নিয়ে যায় শ্মশানচত্বরে
নিভুনিভু ছাই আর গাঁজার কলকে ডাকতে থাকে ‘বিকাশদা বিকাশদা’
আমি খুঁজি; খুঁজি সাপের মতো ওই ঠান্ডা শরীর
কেন সে ডেকেছে আজও এমন নিচুস্বরে ভূতগ্রস্তের মতো
পড়ে আছে তার খোঁপার চাঁপাফুল, দূর্বায় পদছাপ
মাঝরাতের ঝিঁঝি যেন অচেনা রবীন্দ্রসংগীতের আবহ
সারারাত তার পিছুপিছু ঘুরি, সারাদিন তার ফিসফিস অনুসরণ করে ইতিউতি হাঁটি
নিশি সে, আর আমি তার প্রেমিক অশরীরী
অদ্ভুত এক শাদাবালিকা এসে আজ আমার ভিতর বসে থাকে
সমগ্র বিকেল
তার পরিচ্ছন্ন নখগুলো দেখি এই বিকেলে দীর্ঘ হতে থাকে
জেগে উঠতে থাকে সব নিদ্রিত নখ
এই যে অপরিচিত এক হাওয়া, আমি দেখি
সশব্দে উড়ছে কেমন তার কালো ওড়না সন্ধেপাখির মতো
ওড়ে আঙুলের আংটি থেকে খুলে নষ্ট গোমেদ
আর আজকের এই যে বিকেল, ক্রমশ অলৌকিক বেগুনি হতে থাকে
বেগুনি হতে থাকে আমার শরীরে তার নখের আঁচড়
তারপর বালিকার কামিজ উপচে পড়ে ঝড়ের পূর্ণিমা
কুৎসামাখানো রিং দুটো কানে ঝোলে ফাঁসি ফাঁসি হয়ে
সব যেন নিঝুম হয়ে আসে
প্রেম নেই, যৌনতাও নেই, বালিকার শাদাবুক অফুরান পোড়ে
বালিকার অভিশাপে আমি তাই হয়ে আছি বেগুনিবিকেল