ক বি তা
এক
বাতাস আবহমান, বাতাসেই জলখেলা খেলি
যেটুকু উপসংহার, সেটুকুকে হারিয়েই ফেলি।
দুই
সম্পর্ক সুতোর মতো।
একদিকে টানলে তাই, অন্যদিক ছাড়তেই হয় !
তিন
কোনো কোনো রাত্তিরে আকাশকে অদ্ভুত দেখায়
চাঁদের মায়াবি আলোয় ঘরদোর আলো হয়ে গেলে
বুকের কষ্ট নিয়েও আমি ছাদে শুতে যাই
দেখি, পতঙ্গ-গীতে আজও পৃথিবী ভরে আছে !
চার
সব হাত পোক্ত নয়, কিছু কিছু নগ্ন হয়ে আছে
পবিত্র নদীর জলে তাই রিক্ত হয়ে যাই !
পাঁচ
ইচ্ছেমতন রঙ দিলে, সাদাকে কালো করলে
একে ডেকে ওকে ডেকে বিভাজন করলে
কিন্তু কখনোই বুঝলে না আসলে কোনটা
সত্যিকার নির্ভেজাল সাদা
ফুলগুলি ঘিরে কত নাম, ওদিকে পার্কের বেঞ্চিগুলো প্রেমিক-প্রেমিকার
দুই গালের নিচে উথাল পাথাল, মেঘের ট্যাঙ্কে ভরা রয়েছে
পেট্রল, তারা উড়ন্ত নেকটাই-এর মতো আকাশে
শিকারেই ব্যস্ত। ট্রামের কন্ট্রোল-রুম এর কোটর গলে এইমাত্র
বেরিয়ে এল মধুতাজা প্রজাপতি, একে অপরের গোঁফে তারা থুথু
গেঁথে দিচ্ছে আর তা থেকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বার করে আনছে তারের দড়িপথ।
দুটো জাজিম হঠাৎ গোরুর মতো হ্রেষাধ্বনি করে উঠল
আর একজন বড়ো মাপের আমলা তাদের দুইয়ে নিল ক্যাপটুপির বাটিতে। কাঠের
বালকেরা এদিকে রাতারাতি ভেজলিন-সিংহ হয়ে উঠেছে আর ঝাড়বাতিদানের মতো
শুরু করে দিয়েছে গর্জন, মেয়েরা খাচ্ছে স্বরের কাঁটা চামচ দিয়ে
আর অধ্যাপকদের আলপিনের মাথা ঢুকে গিয়েছে তাদের ডেইজি ফুলের মতো
চুনট করা কলারে ।