বাং লা দে শে র ক বি তা
২১
বিয়ের আসরে, ভাবো, সেই দিন কেমন দেখাবে
তোমাকে—কীভাবে শাড়ি পরে সুখী বাতাসের মতো
ভেসে যাবে দূরান্তরে, ডানাহীন সমস্ত খোয়াবে
একদা তোমার মুখ নাবিকের স্বপ্নে আঁকা হতো—
এখন তোমার হাতে ম ম করে ধুন্দুলের বীজ
দোপাটি ফুলের মতো লাল হয় সুবহে সাদিক
তোমার চুলের পাশে অপরাহ্ণে রোদের তাবিজ
দুলে ওঠে, ফ্যান চুঁয়ে ফর্শা হয় যেন সারাদিক
যখন দোকানে গিয়ে কিনে আনো মসলা-সদাই
ভেতরে ভেতরে তুমি স্বীয় তাপে জ্বলে হও দাহ
মনে হয় শূন্য সব, মহীরূহ, আকুল বৃথাই
সমস্ত উঠান জুড়ে সারারাত ভিজছে বিবাহ
জানো না তোমার প্রেমে ধীরে ভাঙে বিরহের পাড়
ছলাৎ ছলাৎ জল সারারাত বাজায় সেতার—
২২
তোমাকে মায়ার ধুলা মনে হয় বহুদূর গিয়ে
লাল সুরকির পথে, মনে হয় কী তোমার নাম!
খুব ভোরে, খোঁজো ডিম মুরগির ঘর খুলে দিয়ে
নামাজে যেভাবে খোঁজে ছোট সুরা অলক্ষ্যে ইমাম—
তোমার ওড়না দিয়ে বেঁধে নাও বকরির গলা
অপরের খেত খেয়ে পালায় যে দেবদারুবনে
জামের বাতাস বয়ে প্রতিবেশী ছোট পলপলা
উড়ে যায় দুপুরের ফাঁকা রোদে—তুমি মনে মনে
ছায়ায় দাঁড়াবে এসে ঘামের প্রবাহ মুছে ফেলে
তখন জুমার ঘরে ভেসে যাচ্ছে মরণের শোক—
কে গেল কোথায় চলে জীবনের সাথে ভুল খেলে
দোয়া করো, ‘সে-ও পাক নবির রওজা মোবারক—’
বোরখায় খোলা মুখ, হেঁটে যাও, ছোট খালা পাশে
গোলাপ ডাকলে শোনো কেবল মাংসই কাছে আসে—