বাং লা দে শে র ক বি তা
গোপনে হলুদ ঢেলে দেই;
যদিও হৃদয় জুড়ে আছ; শিউলির পাপড়িতে
মিশ্রিত নিঃশ্বাস নেই…।
হারিয়ে এসেছি একা হরিণী পায়ের চঞ্চলতা
পুড়ে যাচ্ছে তোমার নাভিতে উষ্ণ শুষ্কপাতা।
ওপাশে কে আছে?
থাকবে সে পাশে…?
কাঁটাতার ভুলে যে দূরত্ব মুছে দিতে
ঢেউয়ের পারাপার তুলে গেছ;
পুজোর মণ্ডপে দেখা হতো; চুলে বাঁধতে রঙিন ফিতে?
ভুলে গেছি সব… স্বপ্নে বিভোর অতীত…
মনে পড়ছে শরীর জুড়ে, কেমন ছিল তোমার শীত?
বুকের পশম গুঁজে শুয়ে আছ- বেড়ালছানার মন
কুঁড়ি দেবে ফুলের পাপড়ি মেলে—
পাতার কান্নায় নেমে আসবে সন্ধের অন্ধকার বন।
গরদ আঁচল- কালো করে দেবে, মেঘ ছোপছোপ পাতাবাহারের ছাট-
জানলায় এসে ছিটেফোঁটা পড়বে মিহিন তাঁতে বোনা পর্দার কপাট।
ভিজে দৃশ্যগুলি ঝাঁপ দেয়ার আগে সব নদী উদাসীন প্রেমিকার
হাত ধরে, আস্তে ধীরে পথচারী পারাপার হচ্ছে প্রেমিক জোকার।
ব্যস্ত শহরের রাস্তায় গাড়ির হর্ন শুনে হাসতে হাসতে লুটোপুটি আড়ঙের ফুলে—
একা একা ঝরলে বকুল গাছের তলায়, নয়তো খোঁপার চুলে।