অ নু বা দ
যন্ত্রণাকাতর পাখিটি মরুভূমিতে আরো কাতর হয়ে পড়ছিল
বাতাসে উড়িয়ে দেওয়া একটি গান তার
মরূদ্যান যেমন
পানিবাহকেরা বলাবলি করছিল
পাখিটি ক্রমশ নিচে নেমে আসছে উড়তে উড়তে
আহা কী হৃদয়বিদারক তার এই গান
তার ডানায় ভর করা আশা শেষ অবধি স্বপ্নই
(আমাদের নিয়তি যেন কালো মুখোশে ঢাকা)
আগামীকাল বা পরবর্তী সময়ে যে সব দেশগুলি গড়ে উঠবে
সেই সমস্ত শহরে আমরা একই প্রার্থনা করেছিলাম
গ্রামে গ্রামে আমাদের পূর্বপুরুষের মিথগুলোকে উপস্থাপন করেছি
আমাদের হতাশা আমাদের জীবন আমাদের মৃত্যু প্রেরণ করেছি
কোনো এক রক্তদাতার ভালোবাসার দাক্ষিণ্যে আমরা আত্মতৃপ্ত হয়েছি
আমার কাছে শুধুমাত্র তিরিশ সেন্ট পড়ে আছে
কেন জানি না দুনিয়ার সব কিছুতেই আমার হাসি পায় বা
পঁয়তিরিশ বছরের শিশু আমি নিজেকে নিয়েও হাসি কিন্তু আমি আশাবাদী।
জীবন তখন থেকেই কঠিন হয়ে উঠেছে যখন আমি সব নিন্দার থেকে পালিয়ে এসেছি
পৃথিবীর যে কোনো সংবাদপত্রের থেকেই কমিশন পাবার মতো বিক্রিবাটা বন্ধ করে দিয়েছি
বামপন্থী পুস্তিকাগুলির বিষয়ে বিশেষভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে
আমি কিস্তিতে কিস্তিতে মৃত্যু গুণছি
অনাহারের খাদ্যতালিকা জেনে
এবং দীর্ঘদিনের ভাড়া বাকি রেখেছি।
নিশ্চিতভাবেই এটা জীবনধারণের কোনো উপায় নয়
নির্দয় দিনগুলিকে সামলানোর জন্য প্রস্তুত সেনাবাহিনির কাছে
আরো উন্নত যাপনের জন্য স্লোগান ফেরি করি
কিন্তু সংগ্রাম চলবেই
এবং আমরা স্বপ্নেও অজস্র নতুন রণাঙ্গন উন্মুক্ত করব
১।
দুঃখ এখানে এসে শেষ হয়েছে
নতুন বছরের পার্টি শেষে পড়ে থাকা উচ্ছিষ্ট নিয়ে লড়ে যাচ্ছে দুটো কাক
আমার কুঠুরি থেকে আমি দেখতে পাচ্ছি
এক শীতল কঠিন পৃথিবীকে।
২।
এই তবে সেই স্ফোটক যা গোটা জাতির যন্ত্রণা-
বন্দিশালা, অত্যাচার, রক্ত আর ক্ষুধা।
একদিন বিস্ফোরণ হবেই;
হতেই হবে।
৩।
যখন আমি শুনলাম তোমাকে ওরা নিয়ে গেছে
আমরা অনেকেই অনুমান করতে চাইছিলাম
তুমি কোথায় থাকতে পারো
কোন দুঃস্বপ্নের মধ্যে থাকতে পারো?
সেই রাতে আমি চাপা গোঙানি শুনেছি
নিপীড়নের ঘেরাটোপে তুমি হারিয়ে গেছ
ভেবে অবাক হচ্ছিলাম
তারপর তুমি এলে, অসামান্য, রক্তাভ চোখে
সেই প্রথমবার আমি কেঁদেছিলাম
উজ্জ্বল
সিংহীর বাহুর মতো ঝলমলে,
সে সাড়া দিচ্ছিল,
সাদা আলোর পোশাকে
এবং ঢেউ তাকে আগলে রাখছিল
চন্দ্রালোকের মুকুটে জড়ানো আমার মৃগেন্দ্রাণী।
নিমেষের মতো তার উপস্থিতি-
বাতাসের শ্বাসে আগুন ঝলকানি-
যেন আয়নার মতো চারিদিকে তাকে দেখি।
আরো নিচে…
ঢেউগুলি তাকে পরিশুদ্ধ করে তুলছে:
যেন সোনার ফসল
নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে অনাহরিত
লবণের শূন্যতা-মাখা জলকন্যা,
গোপন শ্রবণে বেড়ে ওঠে।
তোমাকে এবং জোয়ার ছাপিয়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি
দ্বিপ্রাহরিক জোয়ারেরও ঊর্ধে
জলস্রোতের হাস্যরোল শুনছি
কেন যে জানি না:
সেই উদ্দামতাকে শুনছি…
আমি দুপুরের জোয়ার ছাপিয়ে দাঁড়িয়ে আছি
মাথা উঁচু করে,
আমার পায়ের নিচে তরঙ্গ বয়ে যাচ্ছে:
জোয়ার এসে ধাক্কা দিচ্ছে তারও তলদেশে।