বাং লা দে শে র ক বি তা
মেঘেদের গায়ে কোনো কাদা লাগে না
তারা দূরদেশে উড়ে যেতে পারে
পাখি সমাজে বিবাহ নেই, দুঃখও নেই
অনাবিল কৃৎকৌশলে মত্ত থাকে তারা
আমাদের চতুষ্পদী জীবন
কতকিছু করে যেতে হয়
বাচ্চা, ছানাপোনা, ঘরঝাঁট, ঝোপঝাড়
সভ্যতা, অসভ্যতা মিলেমিশে থাকে।
আকাশের যেমন দরজা জানালা আছে
আলোরও আছে, অন্ধকারেরও আছে
কে কোন দিকে যায়, কার কাছে যায়
সে কথা লিখে রাখে সময়, অনুচ্চারিত পদযুগল
একদিন মেলাঙ্কোলি মেঘ এসে হাত বুলিয়ে দেবে
সে আশায়, আমিও বুকে আকাশ নিয়ে বসে আছি
প্রচ্ছায়ায়…
তোমার যারা আমাকে দেখো
আমি দেখি মেঘ, আমি দেখি আকাশ
তোমরা যারা আগুন লাগাও বনে
আমি তা নেভাই আমার মেঘের জলে
তখন
আঙুলের সাহচর্যে ডেকে ওঠে বন
কাঁঠালিপোকার শব্দে ঝিম ধরে থাকে ভাদ্রের দুপুর
বিঁধে আছে অব্যর্থ তুরপুন জোড়াশালিকের মনে
রাঙাবালি খেলে রামতনু বিকেল
কাগজের শাদা পৃষ্ঠায় এখনো থইথই জল
বিলম্বিত বর্ষার কিউটি কিউটি কাশফুল
চারদিকে বন্য পিঁপড়েদের অদম্য হুলুস্থুল
আমি দেখি ভালবাসা পানপাতা হয়ে যায় বিষাদিত জ্যোৎস্নায়!