বাং লা দে শে র ক বি তা
প্রহর ভীষণ শান্ত,
জোয়ারও থেমে গ্যাছে প্রায়।
বহু সভ্যতার নাড়িচ্ছেদ করে তুমি খুঁজে আনো
অনাবিল মোহ।
জলের প্রবালপথ পেরিয়ে,
প্রবল নীরবতার রেশ খুঁটে নিয়ে আসো শতাব্দীর ফিরোজা আঁচলে।
আমি আজ স্তব্ধ পথে হেঁটে নিরাকার পথিক হবো যে…
দু-পায়ে ছুঁয়ে যাবো ঘাসের তীব্র মধুবেলা।
রোদের বেনামি চিঠি হেঁটে বেড়ায় তোমার পথে।
দু-হাতে সাগর ছোটে, দু-চোখে ঢেউয়ানো দিন।
ঠোঁটের কোণায় থাকে সাম,
ঝড়ের প্রতিবাদ লিখছে চিরকুমার হাওয়ার নাভি।
একটি হলুদ পাখি উড়ো শিখবে বলে বসে আছে উদাসী জানলার পাশে।
একটি ভোর আলোর পাঠশালা
খুলে চেয়ে আছে,
পারলে পর্যাপ্ত কিছু আলোকপাত দিও ।
হৃদয় ডোবায় ভালবাসা কচুরিপানার মত গলাগলি করে বেঁচে থাক।
সূর্যরথে ভেসে আসুক জলপাই রঙের ভোর।
প্রবর্তনের অজুহাত বাড়ে ঋণে
ঝুলে থাকা সুখ আজীবন খোঁজে আলো
ফাল্গুনী মনে মেঘ নেমে এলো দিনে
ওভারব্রিজের শরীর জমায় কালো।
বৃষ্টি চেনায় অচেনা প্রহর কার
যতটুকু ভুলে বারমুডা দেয় পাড়ি
ভিখারি বিকেল গোধূলির আবদার
বাঁশ বাগানের অভিমান খোঁজে নাড়ি।
উল্কার প্রেমে মেঘের বসত বাড়ি
ছায়াপথ হলো যাত্রাপালার নারী
সমুদ্র চেনে চোখের বিভেদ যত
চশমার গায়ে জমে থাকে কত ক্ষত।
শব্দের কত রকমারি চাওয়াপাওয়া
ট্রামের বুকের আর্তনাদের ধারা
জন্মান্তরে মোহ থেকে যায় কাছে
গোলাপের বনে আস্তিন বেশে কারা?