Hello Testing

3rd Year | 10th Issue

৩০শে ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | 15th March, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

আ মা র  পু জো

বাঙালির তেরো পার্বণের সেরা পার্বণ দুর্গা পুজো। তো এই পুজো নিয়ে কী ভাবছেন তাঁরা? পুজো তাঁদের কাছে কীভাবে ধরা দেয় অথবা পুজোর ভেতর তাঁরা ধরা পড়েন কীভাবে... কলম ধরলেন

প লা শ   দে

কেউ আছেন নাকি ভেতরে?

শুরুয়াৎ

হাতে রোল ক্যাপ ভরা বন্দুক। হাফ প্যান্টের পকেটে উঁচু নিচু ক্যাপের ব্যাকআপ। সকাল ১১টা। স্পোর্টিং সেন্টারের সঙ্গে দাশ কলোনির লড়াই আজ। এই যুদ্ধের সকাল থেকে দুপুর চিরকালীন। বিকেলে নতুন গন্ধের পোশাক পরে বন্ধুরা অপেক্ষা করছে। আজ প্রথম মোগলাই খাওয়া হবে তাও আবার সোদপুর ভগবতীতে বসে। টাকাপয়সার হিসেব কষা হয়ে গেছে। উফ্ কী যে উত্তেজনা। বাড়ির বাইরে থেকে অস্থির ডাক ইকো হচ্ছে- ‘কী রে আয়, দেরি হয়ে যাচ্ছে তো, আয় জলদি’…  

এমন সময় দম আচমকা ওঠানামা করছে কেন! কেমন যেন গুলিয়ে উঠছে গোটা শরীর। আরে! কিছু বোঝার আগেই খলবল খলবল করে পাশের গঙ্গা নদীর এক চিকন ধারা বইতে লাগল চোখ থেকে। জামার বুক ভিজে যাচ্ছে। কী করা যায় কী করা যায়। কেন এমন হচ্ছে! কই কোথাও তো কোনো কারণ নেই। যদি মা দেখে ফ্যালে? বন্ধুরা? গৌতম বুগলাই দীপক যদি কিছু জিজ্ঞেস করে কী বলব!

বাথরুম, হ্যাঁ, চোখে মুখে জল দিতে গিয়ে জামায় লেগেছে। আর লাল হয়ে ওঠা চোখ? ওই তো চোখে একটা শ্যামাপোকা ঢুকে কী যে জ্বালা… 

ও হ্যাঁ, আজ ভোরবেলায় রাতের চোখ ডলতে ডলতে শিউলি ফুল তোলা হয়েছে–

 

নুন 

যত সমবেত তত একা নাকি কেউ কোথাও নেই এমন ভাবেই একা সম্ভব?

হাজার হাজার মানুষের মেলা। ফানুস, রঙিন বল, তালপাতার সেপাই… মাছভাজার গন্ধে ম ম চতুর্দিক। আলো সরিয়ে দেখি ফেনা গলে গলে পড়ছে পাথরে। তিন নম্বর ঢেউটা কি ভাঙবে আগেই? নাহ্, ওই যে আগেই কোলাকুলি করে নিল পাঁচ নম্বর ঢেউ সব। তার বেশি দ্যাখা যায় না। আন্ধার অ-নে-ক জল পেরিয়ে হ্যাজাকের আলো। পরপর, এখান থেকে সরলরেখা মনে হলেও নৌকা আগু পিছু জাল পেতে চলেছে।

সমুদ্রের জলে কিছু অভিশপ্ত মানুষের রস মিলেমিশে নুনের জন্ম। সেই স্বাদ গ্রহণ করতে গেলে সাধনার প্রয়োজন। সমুদ্র পরীক্ষা নেয়। 

ধুর, কীসব বলছ?

হুমমম, ওই যে জলে নামতে না নামতেই লাথি মারতে শুরু করল দ্যাখো -ওরা ফেল।  

পাশ করা মানুষ দায়িত্ব পায় নিম্নচাপ সরিয়ে সরিয়ে মেঘ রং করে সাদা আর আকাশি পৃথিবী প্রস্তুত করার, কী বুঝলে!

তোমার মাথামুণ্ডু। যত্তোসব…

 

উৎসব

উৎসব সারাক্ষণ একলা মানুষ খুঁজে যায়। সারাবছর অন্ধকার গলিতে যখন টুনি বাল্ব চকমকি করবে, অথচ কেউ সারাবছরের একই অভ্যাসে হেঁটে আসবে যাবে, তখন, ঠিক তখনই বশ করবে। সাইকেলের ক্রিং মুছে যাবে চটুল গানে। ছাদে সন্ধে জাপটে রাত্তির করতে থাকা মেয়েটাকে খুব আলগোছে যখন শহরের ঠাকুরের কথা বলবে আর সে সময় কীভাবে কোন মন্ত্রে যেন সে-ই দেবী!

রূপ রস ঘ্রাণ মিলেমিশে অসুর সন্ধান চলছে তখন।

অসুর কই? ওই যে এখন জীবনে প্রথম সিগারেটে টান দিয়ে কাশছে…

 

ম্যাজিক

যে কোনো দ্যাখা ছটফট করে ওঠে। শহরে নিয়ে যাওয়া বাস ট্রেন এক জাদুপৃথিবী। লোকাল সেন্টের গন্ধ, খাবারের দোকানের ডাকাডাকি, দূরে কাছে নকল আলোর মফস্‌সল। চায়ের দোকান প্রায় ফাঁকা। সকলেই আইসক্রিম। ওই গলে গলে পড়া আরামে অনাথ মেয়েটা।

কি রে, কিছু খাবি?

ভাইয়ের জন্য দেবে তো!

উৎসব এইসব অভিশপ্তে প্রতীক্ষায় থাকে। তুমি পৌঁছনোর আগেই ভাইবোন হাপিস। তুমি কোথায় তাহলে। তুমি এখন কী ভূমিকায়?

গাছ থেকে পেরেক তোলা।

হার্টের রোগীর ঘরে জানলা বন্ধ করে দেওয়া।

বেলুনওয়ালার হাত দিয়ে ইয়া বড় গ্যাসবেলুন উড়িয়ে দেওয়া।

আতস কাচ দিয়ে একলা খুঁজে যাওয়া।

 

বাকল খুলে খুলে নতুন হচ্ছে। হাওয়ায় লাজুক লাজুক ভাব। সমুদ্র নীল আসমান। পাখি উড়তে পুড়তে দিশা ভুলে যাওয়া।

এসবের মানে কী?

উৎসব, তোমাকে খুঁজছে, একলা 

আরও পড়ুন...