ক বি তা
১
জোকার জানত, ডাইনি পিছনের দরজা দিয়ে পালাতে পারে। ডাইনি জানত, জোকার পিছনের দরজায় পাহারা রাখবে। দু’জনেরই মাথায় ছিল, সাবধানের মার নেই। লকডাউনের এক নিঝুম সন্ধেয় যখন এই চোর-পুলিশ খেলাটা শুরু হল, আমি গ্যালারিতে বসে দেখছিলাম। কেউ একটা কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলল, আপনি কাকে সাপোর্ট করছেন? ডাইনি, না জোকার?
আমি ডাইনিকে ফুঁসলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি, আবার জোকারের কানে পৌঁছে দিয়েছি মিথ্যের গন্ধমাদন। কাউকে সমর্থনের বদলে শুধু টিভি চালিয়েছি আর বন্ধ করেছি। নানা রঙের জামা পরেছি আর খুলে ফেলেছি। আমার গুপ্তচর দু’পক্ষেই ঘুরঘুর করছে। কে জিতবে, সেই আগাম খবরটা পেলেই চলবে।
শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার আগে লিখে রাখব কয়েকটা লাইন…
২
জোকার বেড়াতে গেলেই আমি ডাইনির সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। লুকিয়ে, চুপিচুপি। যে কোনও অভিসারেই ধোঁয়াশার মতো থেকে যায় বিপজ্জনক সব হাইওয়ে। সেসব কাটিয়ে রোমহর্ষক সেইসব রাতে ডাইনির বেডরুমে উঠে আসত রূপকথা। তাতে বুদ্বুদের মতো ভেসে যেতাম আমি। স্বপ্ন দেখতাম, চিরস্থায়ী হোক এই অন্ধকার। জানতাম, ভোর হলেই আসবে—কু.. ঝিকঝিক… মন খারাপ এক্সপ্রেস…