Hello Testing

4th Year | 2nd Issue

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 15th May, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

ক বি তা

সা ম্য ব্র ত   জো য়া র দা র

আমাদের গল্পে কোনও রাজা রানি নেই



রাত্রি তো অনেক হল, একা একা কথা বলা খাদ
তার পাশে নিঃশব্দের রেলগেট এবার তো যাও
দিনান্তে ঘুমোতে যাও নক্ষত্রেরা— টিনচালে নেমে
আসা শিশিরের ফুল জানি তোমাদের ঘুম নেই
সারারাত ব্যস্ত থাকো দূর কোনও মানমন্দিরের
সেই শান্ত এক স্তব চুপকথা নিশিযাপনের
দিনলিপি— যে গল্পে কখনও রাজা নেই রানি নেই
রাজপুত্তুরের ডানাওলা সাদাঘোড়া সহিসের
বুটজুতো যার কোনও মাথামুণ্ডু নেই বলে যায়—
রাত্রি তো অনেক হল বালিশের নিচে চেপে রাখা
ব্যথার ওষুধ ধীরে ধীরে মুছে গেছে নীলচে দাগ
কালশিটে পশ্চিমের আকাশে দ্বিখণ্ডিত খণ্ড মেঘ
বিরহীর মাঠে পড়ে হাত-ট্রাক্টরের ভাঙা চাকা,
এক একদিনের আকাশ একটু একটু পা টেনে হাঁটে
কবেকার আকাশ কার কাছে নিরবচ্ছিন্ন বসে
তার বুঝি দেখা নেই শেষরাত্রি রেলগেট পড়ে,
এবার তো ঘুমোতে যাও নিভু আঁচ আমাদের
গল্পে কোনও রাজা নেই রানি নেই কোনওদিন।



ক্ষয়ে গেছে সেই রাত স্বাভাবিক কতই বা আর
ধরে বেঁধে রাখা যায় অন্তত নিজেকে— হাওয়া কার
কীভাবে সরেছে, নিভে যাওয়া পেট্রোলিয়ম বুথ
নিওনদানব নাকি ভূত খালি টিনকৌটো এক
হাওয়া লেগে শব্দ করে প্রোপাগান্ডা টিভিতে ছড়ায়,
বেওয়ারিশ এটিএম তার পাশে তন্দ্রাচ্ছন্ন সেতু
একটু ঝুঁকে হাঁটে পায়ের অসুখ তার সারছে না
বহুদিন— ডাক্তারের খরচাপাতি আছে তাছাড়াও,
এখন তো পাতাঝরার সময় উড়ে উড়ে
উইন্ডস্ক্রিনে ঠোক্করের রাত… কফিশপ পার করে
তার ছেঁড়া বিষণ্ণতা মানতের দড়িবাঁধা গাছ
পাথরের পাশে— অ্যাপ্রনশোভিত এসপ্রেসো ফেনা
নাকি বেশি রাতের এঞ্জিন ধোঁয়া ছেড়ে কাশতে থাকে
বেশ খানিকটা পথ তাকে যেতে হবে, এই গন্ধ
চেনা যায় এই যে সমস্ত স্তব্ধ মাইক্রোফোনের
মিছিলের শেষপ্রান্তে অগোছালো জন্মদিন তার
বৃষ্টিশেষের পর ধুলোমাখা পিচরাস্তা ঘ্রাণ—
অসুখী মানুষ যেন পালিয়ে এসেছে বাড়ি থেকে
একা একা নিরিবিলি বাসডিপোয় দেশলাই হাতে
সিগ্রেট ধরিয়ে রিং ছাড়ছে নক্ষত্রের বেশি রাতে।



বাইলেনের ভিতরের রাত শূন্য যাম পুনরায়
কলিজা নিংড়ে লিখি নিশীথের আলো জ্বেলে জ্বেলে—
হলদেটে পার্চমেন্ট কাগজের ফিলামেন্ট কাঁপে
জানি এসময় তোমার মনের মধ্যে দিয়ে কী যে
চলে যায় ফাঁকা ট্রেন কামরা চলে কী এক স্টেশনে
সে দাঁড়িয়ে পূর্বজন্মে শ্বাস ফেলছে ছিন্ন ওয়াগন
ক্রমশ ঘুমের তলানির শেষে ফাঁকা বাইলেন
একটিই মাত্র আলো জ্বলে সারারাত— এমন এক
ভুল সংলাপ বালিরস্তূপের নীচে চাপা দেওয়া
হয়ত বা একটু পরেই বেতার স্টেশনে ছুটি
হয়ে যাবে সারারাত আলোর স্তম্ভগুলির কাটাকুটি
বাইলেনের ভিতরের দিকে— মির্জা সাব হমকো ইয়ে
বাতেঁ বিলকুল পসন্দ নহী, নসিহত কাকে লিখব
মির্জা সাব নিজের ছায়াকে লিখি কলিজা নিংড়ে
যে একা জ্বেলেছে আলো ভাঁজ-করা হলদে বাইলেনে।

আরও পড়ুন...