Hello Testing

4th Year | 2nd Issue

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 15th May, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

ক বি তা

সু জি ত   দা স

এই যে, শুনছেন?

১। মনস্বী কবিতার আর্টেমিস।

 

সেক্টর ফাইভে আপনি যতটা আগুন, বাগুইহাটিতে ততটাই হোমমেকার।

স্বচ্ছ কর্পোরেট শার্ট থেকে বেগুনি আভাটুকু সরিয়ে নিলে 

ডাকনামে ডেকে ফেলা যায়।

 

যেখানে জাভা নেই, কোড নেই, নেই প্রোজেক্ট ডেডলাইন।

লিপটন চা-পাতার সঙ্গে দুধ আর চিনির লিপলক কিস্‌ আছে।

শাশুড়ির আয়া, মুদিখানার ফর্দ, ননদের ভিডিও কল…

এইসব টপকে এখানে আপনার দিকে তাকিয়ে ‘টুউউউউকি’ বলা যায়।

 

এইখানে, এই জোড়ামন্দিরে আপনার আলো নিভে আসে।

তেঘরিয়া মিনিবাস স্ট্যান্ড পেরোলেই আপনার স্লিং ব্যাগে ঘুমিয়ে পড়েন বিষ্ণু দে।

বিয়েতে চারটে শ্রীজাত পেয়েছিলেন, দু’টো শংকর।

 

অথচ দেখুন, ‘একদিন হঠাৎ’

এই ফ্রি-ভার্স-এ লেখা কবিতা দিয়ে আপনাকে বধ করে ফেলেছি। কিউট, না?

 

 

২।  কলমিবনের উর্বশী।

 

এই আমার ছুটকো লেখা। ভাতের গন্ধ নেই, বেশ্যাবাড়ির মাটি নেই।

যে কোনও ইস্যুতে কয়েকটি স্তবক লিখে ফেলব, এমন মিস্ত্রিও নই আমি।

আমাকে কি আর খেলা নেওয়া যায়, বলুন?

 

ভরদুপুরে পাতাকুড়োনি মেয়ের মতো এই যে 

পুকুরে নেমে গেলেন ব্লাউজ ছাড়াই, এই ঢেউ কী করে সামাল দিই, বলুন তো?

সাঁতারের বিভঙ্গ থেকে উঠে আসা কমা, সেমিকোলন আর জোড় বিজোড়ে গাঁথা

উথাল পাথাল শব্দমালা, এরা কেউই…

 

পিস্তল বুকে ঠেকিয়েও আমাকে দিয়ে একটি সিরিয়াস ফ্যানভাত লেখাতে পারেনি।

 

স্নান সেরে উঠে এলেন যখন

এবং যখন আমি জেনে গেলাম আপনিই আমার সেই অমনোনীত কবিতা

তখনই ভেতরের সাহসী পাখিটি শিস্‌ দিয়ে ওঠে, ‘তুমি বিবাহিত, না-কি আনুষ্ঠানিক’?

 

(উৎপল কুমার বসু থেকে এমত কাঁচা চুরির পরও 

সবুজমেরুন শাড়িটি কী নিখুঁত লেপটে রইল ওই গায়েহলুদ আবহে। ভাবা যায়?)

 

 

৩। বাংলা কবিতার মহাকাল।

 

তলচোখে তাকাইনি কোনোদিন।

ফ্রন্টলাইন সৈন্যের মতো আইবল টু আইবল কনট্যাক্ট পছন্দ করে এসেছি বরাবর।

স্বয়ং-খোদা জানেন সেইকথা।

 

অথচ বাকিদের সেইসব পঙ্‌ক্তিমালা, 

মহাকাল যাদের নিয়ে হা ডু ডু খেলবে, কী অবলীলায় আন্ডারলাইন করে দিচ্ছে 

আপনার উদ্ধত বাঘমুন্ডি, নম্র মুথাঘাস, লাজুক শিরদাঁড়া। স্ক্যান করে নিচ্ছে সবকিছু।

 

দেখার চোখটিকে এবার বদলাতে হবে, ভাইলোগ।

শিখে নিতে হবে গেরিলা ওয়ারফেয়ার। এক চাউনিতে গিলে ফেলতে হবে আস্ত নদী।

প্রমুখের দলে আর কতদিন, আর কতদিন এক্সট্রার রোলে?

এক্সাইড মোড় পেরিয়ে সামান্য ডানদিকে মহাকাল টোল খুলেছেন।

এবারে গভীর কিছু লিখতে হবে। লিখতে হবে মনস্বী তৎসম শব্দাবলি।

তবেই না মহাকালের ক্লাসটিচার রোলকলে ডাকবেন আমাকে, আমার কালজয়ী কবিতাকে।

 

এই যে শুনছেন?

আমাকে একটু লিফট দেবেন? থোড়ি সি তো লিফট্‌ করা দে। 

চিনার পার্ক আর সিটি সেন্টারের মাঝে একটু স্লো করবেন, ওখানেই মহাকাল। বাংলা কবিতার প্রাচীন মর্গ।

আরও পড়ুন...