ক বি তা
বিফলে গেছে নিজেকে চেনানোর সব ছল
ছায়াপথে চিনলেও এখানে তাকে চিনতে পারেননি রাজা।
বড় বেশি বুকে বাজে, গোপনে ঢলে পড়লেও
ভবিষ্যতে চাঁদের মাধুরী গায়ে ফুটবে তীক্ষ্ণ বর্শাসম!
অপহৃত বনবাস- আম্রপল্লব থেকে সুদূর তক্ষশীলা
অলকচূর্ণ তার প্লাবনে ভাসে… ভেসে যায় নব-উন্মাদনা
সোমপ্রতিকৃতি- যেখানেই থাকুক না কেন
সুখে-দুঃখে, পূর্ণ কামনায়
মহামায়ার, বৈরাগিনী রঙে
জড়ো হয়েছে সরোবরে… ছলছল কার্পণ্য-অসুখী!
ঘাসের শিষ খেয়ে ফেলে দেওয়া আজানুলম্বিত কাল-
কৌশানী তমিস্রার মতো ভুলে যাচ্ছে সব?
ভুলে যাচ্ছে দয়িত, সন্তান, আংটির কথা?
অভিশাপ, পর্ণকুটির, শকুনের ছায়া?
নিজেকে চিনেছে সে- শ্লোক-তনু, বিচক্ষণ, অপরাজিতা…
তার পরিপার্শ্ব মনে রাখার কোনও দায় নেই।
যেভাবে দেবদূতেরা পথ হারাচ্ছে
পুরনো জং ধরা মরীচির থেকে
লাভা হোক, ক্ষত হোক, সহ্য নামুক
দ্বিধাকালে প্রাণাধিক গোলাপ আমার!
সে রটনা ভবিতব্য
অঙ্গে বেত্রবতীর উদ্বায়ী ছল
আমাকে নেভাতে কোনও চুম্বন লাগে না
আগুন আর জল… শুধু, আগুন আর জল!
এইমাত্র ব্যথা দিই, জানি তার চতুর্গুণ
অনায়াস ফিরে পাব জানি
দণ্ড নিরাকার তাই,
মুখের আকার চেনে না
ভ্রাম্যমাণ বায়সে ঘোরে পঞ্চভূত, পঞ্চস্বামীহীন
হৃদয়ে রক্ত নিয়ে আর কিছু আবছা প্রলাপ
অঙ্গারে স্থায়ী ঢেউ, অঙ্গারে দধিমুখজাত
প্রায়শই মগ্নতা, আমার স্মৃতির কাছে ঋণী হয়ে থাক…