ক বি তা
রম্বসের চারটি বাহুকে একসাথে পেঁচিয়ে নিলেই
একটি বৃত্তাকার ক্ষেত্র তৈরি হয়ে ওঠে
সেই আবর্তে নিজেকে নিক্ষেপ করার আগেই
এক লাফে ডিঙিয়ে যাই বৃত্তের ক্ষেত্রফল
আমাকে কোনো গণিতজ্ঞ অঙ্ক শেখায়নি কখনো
চতুর্ভুজের দেওয়ালে হাত রেখে
উল্লম্ব সঞ্চালনে নিজেই মাপতে শিখেছি
আয়তকার আকাশের সূক্ষ্ম চতুষ্কোণ
শীর্ষ থেকে ভূমির দিকে নেমে যেতে যেতে বুঝেছি
সমানুপাতকে অবজ্ঞা করতে যে ধ্রুবকের প্রয়োজন
তাকে ঘিরে থাকা প্রতিটি সমান্তরাল সরলরেখাই
খণ্ড খণ্ড অনস্তিত্ব ছাড়া আসলে আর কিছু নয়
বিপন্নতা কাটাতে পারলে প্রতিটি বিন্দুও তখন
একেকটা মহাবৃত্তের সংক্ষিপ্তসার
প্যান্ডোরার বাক্স খুলে বসলে একে একে বেরিয়ে আসতে চায়
কালো সুতো, সেফটিপিন, হ্যারিকেন চিমনি, দুলালের তালমিছরি
এত যে সমারোহে আকাশ যাপন
সে ব্যাপারে হাতযশ কোনোদিনই ছিল না আমার
কতবার এক চিলতে মেঘকে গোটা আকাশ ভেবে ফেলে
দুড়দাড় করে নেমে এসেছি ছাদের কার্নিশ বেয়ে
জন্মাবধি কেউ বলে দেয়নি আমায়
ক্ষয়ে যাওয়া বিকেলগুলো যেখানে জমাট বেঁধে থাকে
তার ওপরে দোলনা লাগানো নীলচে বাগানটাকে আকাশ বলে
কতদিন দেরি করে ঘাটে পৌঁছেছি বলে
আমাকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে দিনের শেষ খেয়াটি
কতদিন লাফ দিয়ে নৌকোয় উঠেছি বাঁধন খুলে দেবার পরেও
এপারে সব কিছু জড়ো হয়ে মিলিয়ে যেতে যেতে
ওপারে জেগে উঠতে দেখেছি সাদা কালো রঙের ঘরবাড়ি, দোকান
এখনও অনেক রাত ভেজা পালক জড়িয়ে কাটানো হলো না
অনেকটা অপূর্ণ সময় চলে গেল শুধু ছল ছুতো করে, আর নয়
এবারে আমি স্থির হয়ে নদীর ধারে বসে
অলস জলে চোখের মণির ছায়া ভাসতে দেখবো
ও টিকিটঘর, নোঙর তুলে দিতে বলো
আমি আর ওপারে যাবো না