Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

ক বি তা

অ রূ প র ত ন   হা ল দা র

দু’টি কবিতা

 

বৃত্তের ভেতরে ফাঁদ দেখে

শিকারের অবসাদ নিঝুম বেলুন ওড়ায়

আকাশে শিরস্ত্রাণ খুলে রাখে মেঘ

কিছু পরে সৌধ থেকে রক্তপাত হবে

সেসব দৃশ্য হাওয়ার স্বাদ নিতে নিতে

শ্বাসরোধী জননের ক্ষত এঁকে চলে যায়

ক্ষিপ্ত মোরগের আশ্রয়ে

অগভীর শেকড়ে পালিত স্মৃতি

উঠে এসে চা-দোকানে দেখে

নিঃশব্দ কেটলির বিষাদ তোমার আয়ত মুখে

জমে যেন কবেকার কালশিটে

ভোরের নিষাদ শ্রান্ত, চলে যায় শিলাস্তরে

সেইখানে ঘুম তার মাধবী

হে ঈশ্বরী, তোমার বাকল খুলে রাখো এই অবসরে

 

 

ঘুমিয়ে পড়া স্তনদু’টির কাছে ফিরে এসে অবসন্ন সন্ধে খুঁজে বেড়াচ্ছিল যে উদ্ভিন্ন লাল নৌকোটিকে তার কোনো স্মৃতি আর অবশিষ্ট ছিল না, সে মরে গিয়েছিল অনেক আগেই। ভেতরে ঢুকে আসছিল গোপন খাঁড়ি, যেন সেই আর্তনাদ ; খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল, শুশুকেরা ফিরে গিয়েছিল অন্ধকূপে। তূর্যের মতো জোরালো কিছু একটা বাজছিল আমাদের এ তাবৎ সব সময়ের আগে, আর বৃষ্টির তোড়ে ঝাপসা, প্রায় শুনতে না-পাওয়া একটা ফোঁপানোর আওয়াজ ভেসে আসছিল বাগানের কোণে করবীর গুচ্ছ থেকে। রাস্তায় তখন দাঁড়ের ছপছপ শব্দ। জল বইছিল আমাদের সিঁড়িঘর থেকে খাট-পালং, তেপায়া, ঠাকুরের আসন, বাসনপত্তর পেরিয়ে অনেক দূরে আটকে পড়া বছরগুলোয়। তুমি জনান্তিকে বলেছিলে ত্রিবিধ সেই গুপ্ত বিদ্যার কথা যার মধ্যে ছিল বায়ু কুপিত হলেও কিভাবে টিঁকে থাকা যায় একটা যুগ আর ক’রাত ক’দিন পাড়ি দিলে তবে মৎস্যকন্যার দেখা মিলে যেতে পারে ; কন্যার দু’হাত শ্যাওলাপড়া ঈশ্বরীর দু’বাহু যেন, আর চোখে পাপবিদ্ধ ছায়া।

আরও পড়ুন...