ক বি তা
আমাদের মফসসলি শ্মশানের ঝিঁঝিঁ
রোজ বিকেলের কুয়োতলায় মুখ গোমড়া করে
বসে থাকে। জলে ভেসে ওঠা মায়ের ছায়ায় তার
কম্পিত ডানা থেকে ভেসে ওঠে বেহালার সুর…
সদর বলে কিছু নেই আমাদের
সাদা সম্পর্কের মধ্যিখানে একটা রঙিন ওড়না
আর কতো কবিতার দায় নেবে? দুরারোগ্য বাতাসে
ইদানীং অকস্মাৎ মৃত্যুর পোড়া গন্ধ নাক ছুঁয়ে যায়
এখনো সে জানে
তার অন্যমনস্ক স্তন আমাকে পলাতক বিপ্লবীর মতো আপন করে নিতে পারে,
অবশিষ্টহীন বন্ধন ছিঁড়ে শয়তান থেকে দেবতার জন্ম হোক উন্মাদের আখড়ায়
চোখের জলের মতো স্নিগ্ধতম নদী
যেদিন শুকিয়ে যাবে অবহেলায়, তুমি তাকে
দু’হাতে ঢেকে দিও—শুধু আমাদের বাতিঘরের চাঁদকে
ছেড়ে দিয়ো মফসসলের শ্মশানে…
দৃশ্য ভুলে ভোর ফুটে ওঠে মায়াচোখে,
জন্ম খেলায় ব্যাঙেদের চোখে কোনো নদী নেই
টলমলে হাওয়ায় ভেসে যাচ্ছে বৃষ্টিরাশির নৌকো; তুমি ভালবাসা হারানো ফিরে আসা
অরণ্যের পায়ের কাছে বসে আছো—একনিষ্ঠ একলব্য আমি
অসহ্য কুয়োতলায় ঈশ্বরের পদচিহ্ন কাদা মেখে মিশুকে জলফুলের আদরে !
তুমি নদী হতে পারতে,
আঁধারমানিক কবিতার খাতায় ভেসে ওঠে কাঁকড়ার গর্ত
শরীর-গণিত ফকির সিনেমাওয়ালার বেশ ধরে
ঝুমুরগানে মেতে থাকে আকাশ, মৃত্যুপরি আতাফলের বেশে ঝুলে আছে। দীর্ঘশ্বাস
দীর্ঘতা কেবলই ঘোড়ার খুরে বিদ্ধ হয়,
লালমাটির বান্ধবী স্বপ্ন দেখা অলস চোখের মতো সহজ, জল পড়ে পাতা নড়ে…
স্বপ্ন ঘুমায় ঘুমোক
আমি কান পেতে শুনি
ঐকতানে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর
এবং শৈশবের পিপাসায় বুক জ্বলে ওঠে ধ্বংসে