ক বি তা
চাঁদ সাজতে গিয়ে দেখি
ছদ্মবেশ কি মারাত্মক ভ্রম!
ছড়িয়ে আছে পালক
যতবার ময়ূর হবো ভেবেছি
মাথার ওপর তাচ্ছিল্য ডেকে গেছে পোড়ামুখো কাক
অক্ষত কাঁচের ভিড়ে নিজেকে দেখাতে ভয় করে
যদি নিভে যায় প্রিয় সর্বনাম
আগলে রেখেছি শিখা
অন্ধকারে কীভাবে পৌঁছোবো তুমি অবধি?
হাতড়ে হাতড়ে দেখেছি তোমার ভেতর
আমি একটা কাঠের চেয়ার
বিশ্বাস করো তারপর থেকে একটা রাতও ঘুমোইনি
সারারাত তোমার বুকে মাথা রেখে শুনেছি
ঘুণপোকার তীব্র আর্তনাদ।
চলো মুখোমুখি বসে লিখি আত্মহত্যার চিঠি
মৃত্যুর কারণ লিখে ফেলা সহজ নয়, যতটা সহজে লেখা যায় খুনের পদ্ধতি
তবু লেখো।
চৌকাঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অগোছালো জীবনকে যতটা গুছিয়ে লেখা যায় লেখো।
হাড়-হাভাতে ভিখিরি একটা জীবন ;
নিজের জীবনকে আদ্যোপান্ত লিখতে গিয়ে যদি দেখো
আজ পর্যন্ত একটাও বিরাম চিহ্ন আঁকতে পারোনি ঠিকঠাক
আফসোস কোরোনা।
তুমি তো বাংলা কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক
আজীবন কবিতা পড়ে এইটুকু বোঝোনি?
শুধুমাত্র একটা পূর্ণচ্ছেদের অভাব কবিদের কী সাংঘাতিকভাবে বাঁচিয়ে দেয় প্রতিবার…