ক বি তা
ভিজে যাই চুপিচুপি গাছের নীল কান্নায়। মুছে দেয় অশ্রুজল লাজুক ভোরের আলোর হাত। যথার্থ গোপন রয়েছে যে সবুজের মনখারাপ তাকে শ্রমের উপমহাদেশ বোঝাই। এপার ওপার জেগে ওঠা শান্ত ঘরবাড়ি ছড়িয়ে আছে সুখনিদ্রায়। ভেসে যায় কিছু নদীপথের সত্য। মোহনার পিঠে ঝুঁকে কত চেনা অচেনা আত্মীয়তার মুখ। ছুটে যায় দিকে দিকে অশ্বারোহী বর্ষার বাহিনী। বেড়ে উঠে নিঃসঙ্গে রোজ রোজ পাখির মৌলিক উদযাপন। খুঁজে ফিরি একেকটি শস্যদানার বংশপরিচয়। এই ভেবে ফিরে আসি বারেবারে পথিকের পিপাসা হয়ে। গভীরে বাজে জাহাজের দূর ভ্রমণ।
নির্মিত ভালোবাসার সাবানগন্ধ রেখে দিয়েছি পূর্বপুরুষের স্মৃতির আঙিনায়। কখনো কখনো রহস্য খেলেছে ফুলের মালা। হয়তো বা নেই তাঁদের জ্যোৎস্নাদ্বীপে শরীরের নিভৃত স্নানঘর। প্রিয় গল্পেরা টপাটপ ফসলের স্বাদ খুঁটে খাচ্ছে। ভুলিনি দু’একটা তারার উজ্জ্বল গভীর যাপনরেখা। তেমন কিছু যোগ করেছি চেনা অচেনার সমতলে সাদা রাজহাঁসের উচ্ছ্বাস। শুধু সঞ্চয়ের কোল ঘেঁষে বয়ে যায় মেঘের ধবলতা। বালিকার যৎসামান্য কারুকাজে পরাজিত হৃদয়ের সড়ক গেঁথে থাকে। একটা বিশ্বাসের পায়ে বাঁধা আছে চাঁদের মুগ্ধতা, আমি তাকেই পৃথিবীর দামী সম্পত্তি মানি এই তর্কপ্রিয় ভিড়ে। কতটা মুষ্টিবদ্ধ গোপন প্রহর খুঁজে পেল নিজেকে হারানো সুরে।