ক বি তা
আমার নামের পাশে কোনো আর্য অক্ষরমালা নেই
ব্যর্থ নাকের ডগায় অনামি সেই বাঞ্ছিত তিল
চোখের কোণে জমে আছে অবজ্ঞার ভোর
কোঁকড়া-চুল বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে ডুকরে ওঠা ঘাম
ঋতু এখানে নিজের হাতেই এঁকে দেয় ধূসর কালবেলা
জাড়কালের প্রতিটি অনুর্বর সন্ধেয় কাঁপুনি বেঁধে রাখি দাঁতে
আঁচ হারানো প্রতিটি কাঠে আমার মিইয়ে যাওয়া আগুন !
এই শীতল ছুঁয়ে ছুঁয়ে শুকিয়ে যায় ঠোঁট
শালকির ব্যথা আড়াল করি !
গোড়ালির ফাটলে চুঁইয়ে আসা রক্ত
তারও যে শোকের বিছানা আছে…
উত্তুঙ্গ নাসিকার প্রতি আমার কোনো ঘৃণা নেই
ঘৃণা নেই যে বধূ অচ্ছুৎ এঁকেছেন আমার পথে…..
আপনার যাবতীয় কৌশলের গাণ্ডীবে আমি আঙুল
ফাঁসাতে প্রস্তুত গুরুদেব !
শুধু আকল ভর্তি এই তালুতে গুছিয়ে রাখছি
কিছু কাহিল কাহিল শব্দ-তুরুপ
সফলতা কোনো মেধা নয়! কোটায় পাওয়া কলঙ্ক মাত্র
তিন’শ কবিতা লিখে একপয়সাও জোটেনি মান্যবর!
তবু তিনশ ফিসফাসের চলাচল আসমুদ্র-হিমাচল
এই যে আমার নামের পাশে কোনো আর্য অক্ষরমালা বরাদ্দ নেই…
আমার পালে আজ আর কোনো হাওয়া নেই অলিভিয়া !
সারি সারি মানুষ দেখলে বুকের ভেতর কান্না ঘোরাঘুরি করে
গুমরে ওঠে পাঁজর ! ভেঙে খানখান হয় এ অঙ্গ আমার !
তোমাকে প্রতিবাদে দেখি। দেখি উচ্ছ্বাসে ঘন।
অসুখের শিবরঞ্জনী আমাকে বিচলিত করে নিয়ত
ব্যর্থতাকে পাশরে যাই খুইয়ে ফেলি বিলাবল
যে উপমায় রাতকে রাত আর চাঁদকে চাঁদই বলেছি এতদিন
যে জ্যোৎস্না-রাত শিশিরেই ভিজে যায়। উপশম হয় না কিছুই !
ডামাডোল হয়। নাজেহাল হই ভাঙন-ভারে
আলপথে আনখাই হেঁটে যায় আমার ঘর-দোর…
যেভাবে জৈব-চলন ফেলে গেছে অঘ্রাণের লতাগুলি
আমি তার স্পর্শ আঁকি। ফরওয়ার্ড করি পয়মন্ত ঊষর।
অন্ধগলির ভেতর যে-আলো হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত
তার কোনো খুপি-দুয়োর থাকে না
থাকে অনন্ত অতল সব ভুলুক…..
আমি বিলাসের পাশে আফসোস লুকিয়ে রাখি
মুচকি ঠোঁটের ফাঁকে শোক আর বালিশের নিচে জমা করি খিদে
আমার এই নড়বড়ে ভিতে ক্রমে ক্রমে ফস্কে যায় পা …
আমি ভাসি, শুধু ভাসি। অথচ এখনও ভাসান হল না আমার…